খেলাধুলা

ফরাশগঞ্জকে অস্বস্তিতে রেখে স্বস্তিতে ব্রাদার্স

প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের শিরোপা জেতা হয়নি ব্রাদার্স ইউনিয়নের। এমন কী রানার্সআপ ও তৃতীয় স্থানও জোটেনি কখনো। লিগ শেষে পয়েন্ট টেবিলের মাঝামাঝিতেই অবস্থান হয় তাদের। প্রিমিয়ার লিগে নিয়মিত খেলা কমলা জার্সিধারীরা এই প্রথম পড়েছিল রেলিগেশনের শঙ্কায়।

Advertisement

অবশেষে ২১ রাউন্ডে ফরাশগঞ্জকে ১-০ গোলে হারিয়ে অবনমনের শঙ্কা কাটিয়ে স্বস্তি নিয়ে ঘরে ফিরলো গোপীবাগের দলটি। ২১ ম্যাচে ব্রাদার্স ১৯ পয়েন্ট নিয়ে উঠে গেছে টেবিলের সপ্তম স্থানে।

ব্রাদার্সের স্বস্তির জয়ে অস্বস্তি বাড়লো পুরনো ঢাকার দলটির। ত্রয়োদশ হারে অবনমন শঙ্কার পাল্লা ঝুলে থাকলো তাদের দিকেই। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থাকা দলটির শেষ ম্যাচ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিরুদ্ধে। ফরাশগঞ্জের হারে তাদের প্রতিবেশি রহমতগঞ্জের মুখে কিঞ্চিত হাসি।

মাঝারি শক্তির দল বানালেও মৌসুমের শুরু থেকে ডাগআউটের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা ছিল ব্রাদার্সের। দুইবার কোচ বদল হয়েছে তাদের। ভারতের জুনিয়র সুব্রত ভট্টাচার্যকে দিয়ে মৌসুম শুরু করেছিল ব্রাদার্স।

Advertisement

মাঝে দায়িত্ব নিয়েছিলেন জিয়োভান্নি স্কানু নামের এক ইতালিয়ান কোচ। তার চলে যাওয়ার পর তৃতীয় বিদেশি হিসেবে কমলা জার্সিধারীদের ডাগআউটে দাঁড়ান সার্বিয়ান নিকোলা ভিটোরভিচ। শুক্রবার ফরাশগঞ্জের বিপক্ষে স্বস্তির জয়ের পর এ সার্বিয়ান যেন লাফিয়ে আকাশ ছুঁতে চাইলেন। তার হাত ছোড়া দেখে মনে হচ্ছিল ব্রাদার্স যেন চ্যাম্পিয়ন।

ব্রাদার্সের জয়সূচক গোলটি করেন ৩৯ মিনিটে সিয়ো জুনাপিও। মাসুদ রানার ক্রসে চলন্ত বলে ডান পায়ের দর্শনীয় সাইডভলিতে ফরাশগঞ্জের জাল কাঁপান কঙ্গোর এ ফরোয়ার্ড। বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়েও ব্রাদার্সের গোলমুখ খুলতে পারেনি পুরোনো ঢাকার ক্লাবটি।

একটি পয়েন্ট পাওয়ার কপাল প্রায় খুলে গিয়েছিল তাদের। শেষ মিনিটে বক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রি-কিক নিয়েছিলেন গোলরক্ষক মামুন আলিফ। তার দুর্দান্ত ফ্রিকিক ক্রসবারের নিচে দিয়ে জালে প্রবেশের মুহূর্তে লাফিয়ে ফিস্ট করে বাইরে পাঠান ব্রাদার্সের গোলরক্ষক সুজন চৌধুরী।

আরআই/এমএমআর/এসএম

Advertisement