অর্থনীতি

হচ্ছে না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বাণিজ্য মেলায় এবার প্রথমবারের মতো দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা ছিল। এমন অনুষ্ঠানের জন্য আট লাখ টাকা বরাদ্দ এবং সব প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত বিনোদনের ব্যবস্থা থাকছে না। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজক কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

Advertisement

গত ৩১ ডিসেম্বর বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল, এবার মেলার বিশেষ আকর্ষণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও বলেছিলেন, এবার মেলায় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বিনোদনের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

মেলা আয়োজক কমিটির সূত্রে জানা যায়, মেলায় আগত দর্শনার্থীদের বিনোদন দেয়া এবং নতুন প্রজন্মকে দেশের সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিশদভাবে জানাতে সপ্তাহে একদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু মেলার প্রথম সপ্তাহ শেষ হয়ে গেলও এখন পর্যন্ত তা আ্য়োজন করা সম্ভব হয়নি। এমনকি এবার এ আয়োজন আর সম্ভব হচ্ছে না।

মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আবদুর রউফ বলেন, আয়োজনের সব প্রস্তুতিই ছিল আমাদের। আট লাখ টাকা বরাদ্দও আছে। মেলায় প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষের আনাগোনা হয়। তাই সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ডিএমপির দেয়া নির্দেশনায় শেষ পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আগামী মেলায় এমন আয়োজন করা হবে বলে আশা করছি।

Advertisement

সরেজমিন দেখা গেছে, মেলা প্রাঙ্গণের যে অংশে সাংস্কৃতিক মঞ্চের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল সেখানে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত শীতল পাটির তৈরি কারুকার্যখচিত গেট। সেখানে সেলফি তুলতে ব্যস্ত দর্শনার্থীরা। গেটটি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনীর দিন প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছিল।

মেলায় প্রথমবারের মতো সাংস্কৃতিক মঞ্চ আয়োজনের ভাবনাটি ছিল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক অভিজিৎ চৌধুরীর। তিনি মেলা শুরুর আগেই উৎসাহ নিয়ে বলেছিলেন, নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে এবং সংগীতের যে প্রভাব পড়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে, তা জানাতেই বাণিজ্য মেলায় প্রথমবারের মতো এবার সাংস্কৃতিক মঞ্চের আয়োজন করতে যাচ্ছি।

উদ্যোগ নিয়েও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ এ আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, আমাদের আর কি করার আছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিল্পীদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছিল। তারা প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন অনুষ্ঠান মঞ্চায়নে। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় আর মঞ্চায়ন করা গেলো না। তবে এ ফান্ডের টাকা থেকে যাচ্ছে। যা দিয়ে আমরা আগামীতে আবারো এমন উদ্যোগ নেবো।

এমইউএইচ/এআরএস/পিআর

Advertisement