শৌচাগারের অপ্রতুলতা, যেগুলো আছে সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করা, নোংরা পরিবেশ, মেলায় হকারদের দৌরাত্ম্য, ভিক্ষুকদের উৎপাত, ধুলা-বালু প্রভৃতি কারণে অতিষ্ঠ বাণিজ্য মেলার দর্শনার্থীরা।
Advertisement
এছাড়া আয়োজকদের নানা অব্যবস্থাপনায় মেলায় আগতদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। খুব দ্রুত মেলার উপযুক্ত পরিবেশ ফিরি আসবে বলে মনে করছেন আগত দর্শনার্থীরা।
সরেজমিন মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, মেলার ভেতরে শৌচাগারের সংখ্যা অপ্রতুল। যেগুলো আছে তা ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। সেখানে যেতে হলে নাকে কাপড় চেপে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। কোনো রকম কাজ শেষ করে দ্রুত বেরিয়ে আসার মধ্যে যেন মুক্তি।
এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে ভিক্ষুকদের পাশাপাশি ভাসমান হকারদের উৎপাতও বেশ। ভিক্ষার থালা হাতে তারা বায়না ধরছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের কাছে। এমনকী ভিক্ষার পরিমাণ কম হলে পা জড়িয়ে ধরছে কেউ কেউ।
Advertisement
মেলায় উৎপাতের আরেক নাম ধুলো। বালুভরা মাঠে পর্যাপ্ত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা না থাকায়, পাশাপাশি এখনো নির্মাণকাজ চলায় দর্শনার্থীদের নাকে রুমাল দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলায় নষ্ট হচ্ছে মেলার পরিবেশ, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বাতাসে।
প্রায় ৩২ একর জায়গাজুড়ে আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় বসার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে দীর্ঘক্ষণ হেঁটে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন অনেকে। বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠ নারী ও শিশুরা পড়ছেন চরম দুর্ভোগে।
মাকে নিয়ে মেলায় আসা মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা এনায়েতুর রহমান বলেন, কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর চলে যাচ্ছি। কারণ মেলায় একটু বিশ্রামের জায়গা নেই। মেলা যদি গণমানুষের জন্য হয় তবে তাদের বিশ্রামের কথাটাও মেলা কর্তৃপক্ষের মাথায় রাখা উচিত ছিল। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য, তারা তো টিনেজারদের মতো যেখানে-সেখানে বসতে পারেন না।
অব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে মেলার সদস্য সচিব আবদুর রউফ বলেন, এসব বিষয়ে তারা বেশ ওয়াকিবহাল। সব বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যথেষ্ট টয়লেট আছে। সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কারের জন্য লোকও আছে। তারা ঠিকমতো কাজ করছে কিনা- সে বিষয়ে তদারকি বাড়ানো হবে।
Advertisement
প্রসঙ্গত, ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলার প্রাঙ্গণ।
এমইউএইচ/এমএআর/পিআর