নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃত্বে এমপিওভুক্তির দাবিতে চলমান আমরণ অনশনে ৬ষ্ঠ দিনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ছয়জন শিক্ষক। আমরণ অনশনের কারণে অভুক্ত শিক্ষকরা দুর্বল হয়ে পড়ছেন। অসুস্থ শিক্ষকদের সেলাইন দেয়া হচ্ছে। গত ৬ দিনে এ পর্যন্ত মোট ১১৩ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
Advertisement
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন পর্যন্ত ফলপ্রসু সাড়া না পাওয়ায় তারা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। এমপিওভুক্তির কাঙ্ক্ষি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
আন্দোলন পরিচালনা করতে গিয়ে এবার নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
শুক্রবার দেখা যায়, অসুস্থ ও দুর্বল হয়ে পড়ায় নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহামুদুন্নবী ডলার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বিনয় ভূষণ রায়কে সেলাইন দেয়া হয়েছে। সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহামুদুন্নবী ডলার কম্বল গায়ে শুয়ে পড়েছেন।
Advertisement
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বিনয় ভূষণ রায় জাগো নিউজকে বলেন, আমরা এর আগেও আন্দেোলনে ঢাকায় এসেছিলাম। শহীদ মিনারে অবস্থান করেছিলাম। আশ্বাস পেয়ে ফিরে গেছি। কিন্তু সে আশ্বাস আজও পূরণ হয় নি। তাই এবার আমরণ অনশনে নেমেছি।
এ শিক্ষক বলেন, আর কতো দিন এভাবে থাকা যায়? থাকার কষ্ট, খাওয়ার কষ্টের জন্যই আন্দোলনে নেমেছি। আন্দোলনেও কষ্ট। কিন্তু আমাদের কথা সরকার এখনো বিবেচনা করলো না।
তিনি বলেন, সরকারের কাছে উদাত্ত আহ্বান, শিক্ষকরা দাবি আদায়ে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। তাদের দ্রুত দাবি পূরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিন। অন্যথায় এখানে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
জেইউ/এআরএস/পিআর
Advertisement