আইপিএলে প্রায় প্রতি বছরই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভারতের ঘরোয়া এই লিগটিতে নিয়মিত খেলা বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান কিন্তু দল বদলের এসব উত্তাপ টের পেতেন না। টানা সাত বছর যে কিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে খেলেছেন! প্রতি বছরেই কেকেআর সাকিবকে দলে রেখে দিয়েছে এবং বলতে গেলে সাকিব কেকেআরের ঘরের ছেলেই হয়ে গিয়েছেন।
Advertisement
তবে, এবার আর সাকিবকে রাখেনি কলকাতা। উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এবার বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে আইপিএলে খেলতে নিলামে ওঠার মধ্য দিয়েই। অন্য যে কোনো দলে হয়তো ডাক পেতে পারেন। কিংবা নিলামে তাকে কেউ নাও কিনতে পারে।
যদিও সামনে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সাকিব এসব কিছু নিয়েই এখন ভাবনা-চিন্তায় ব্যস্ত। আইপিএল এখন মাথার ভেতর তার ঢুকছেই না। তবুও, সাকিবের সামনে উঠল বিষয়টা। আইপিএলের নিলাম-টিলাম নিয়ে কিন্তু এখন তিনি মোটেও ভাবছেন না, সাফ জানিয়ে দিলেন।
আজ মিরপুরে অনুশীলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাকিব আল হাসান মুখোমুখি হলেন আইপিএল বিষয়ক প্রশ্নের। সেখানেই তিনি জানিয়ে দিলেন, কেউ নিলে তো নিলো। না নিলেও কোনো সমস্যা নেই। সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হলো, কেকেআর তাকে ছেড়ে দিয়েছে। বিষয়টা কেমন লাগছে তার কাছে? সাকিব বলেন, ‘এখানে কেমন লাগার কোন বিষয় নেই। নিলামে নাম থাকবে। যদি কেউ পিক করে (দলে নেয়) তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। আর না করলে (কেউ যদি দলে না নেয়, তাহলেও) কোন ব্যাপার না।’
Advertisement
সাকিবের সামনে ত্রিদেশীয় সিরিজ আর শ্রীলঙ্কা সিরিজই নয়, এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির সভাও রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেটের নিয়ম-নীতি নির্ধারণী এই কমিটির সভা। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটিতে সুযোগ পেয়েছেন সাকিব। এ নিয়েও তিনি কম রোমাঞ্চিত নন।
সাকিব বলেন, ‘এমসিসি ক্রিকেটে কমিটির সভায় যোগ দেবো, রোমাঞ্চিত অবশ্যই। আমার কাছে মনে হয় এটা অনেক বড় সম্মাননা। পাশাপাশি দায়িত্বও। এর আগে যখন এই মিটিং হয়েছে, তখন বাংলাদেশের কেউ ছিল না। আমরা কি সুবিধা পাই কিংবা কি অসুবিধা মোকাবেলা করি- এসব নিয়ে ওদের ধারণা কম থাকতো। যেগুলো আমি হয়তো শেয়ার করতে পারবো।’
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement