দিনটা পুরোপুরি ইংল্যান্ডের হতে পারতো। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের খুব ঠান্ডা মাথায় সামলে যাচ্ছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। সিডনিতে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনে কচ্ছপ গতিতে রান তুললেও অবস্থানটা ঠিকই শক্ত করে নিয়েছিল সফরকারিরা। শেষ সময়ে মিচেল স্টার্ক আর জশ হ্যাজলউডের জোড়া ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে গেল জো রুটের দল।
Advertisement
এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ২২৮ রান। সেখান থেকে আর ৫ রান যোগ করতেই হাওয়া ২টি উইকেট। সবচেয়ে বড় কথা, এই দুই উইকেটের একটি ইংলিশ অধিনায়ক জো রুটের, যিনি সেট ব্যাটসম্যান ছিলেন, সেঞ্চুরির বেশ কাছে চলে এসেছিলেন।
বৃষ্টির জন্য প্রথম সেশনে এক বলও হয়নি। দ্বিতীয় সেশন থেকে শুরু হয়েছে খেলা। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট। প্রথম ঘন্টাটা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই কাটিয়েছেন অ্যালিস্টার কুক আর মার্ক স্টোনম্যান। চালিয়ে খেলছিলেন স্টোনম্যান। দিনের দশম ওভারে এসে প্যাট কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। ইংলিশ ওপেনার ২৪ বলে করেন ২৪ রান।
২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর জেমস ভিন্সকে নিয়ে ৬০ রানের আরেকটি জুটি গড়েন কুক। ২৫ করে ভিন্সও স্টোনম্যানের মতো একইভাবে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন কামিন্সের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। দেখেশুনে খেলছিলেন কুক। কিন্তু সর্বশেষ ইনিংসে অপরাজিত ২৪৪ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে ৩৯ রানে থামতে হয়েছে।
Advertisement
জশ হ্যাজলউডের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন কুক। শুরুতে আম্পায়ার অবশ্য তাকে আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। তাতেই সাফল্য। রিপ্লেতে দেখা যায় বল সরাসরি মিডল স্ট্যাম্পে আঘাত হানতো।
৯৫ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে এরপর দারুণভাবে এগিয়ে নিয়েছেন রুট আর ডেভিড মালান। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ১৩৩ রানের বড় জুটি। দিনটা প্রায় শেষ করেই আসছিলেন রুট। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে বাগড়া দেন স্টার্ক। ৮৩ রানে থাকা রুটকে মিচেল মার্শের ক্যাচ বানান এই পেসার। ১৪১ বলে সাজানো তার ইনিংসটি ছিল ৮টি বাউন্ডারিতে সাজানো।
রুটকে হারানোর ধাক্কা কাটতে না কাটতেই পরের ওভারে জনি বেয়ারস্টোকেও হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। ৫ রানে তাকে উইকেটরক্ষক টিম পেইনির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান জশ হ্যাজলউড। দিনশেষে মালান অপরাজিত আছেন ৫৫ রানে। ১৬০ বলের ইনিংসে এখন পর্যন্ত ৫টি চার মেরেছেন তিনি।
এমএমআর/আইআই
Advertisement