জাতীয়

বিমান নিয়ে সবচেয়ে বেশি গালি খাবেন, শাহজাহানকে মেনন

নতুন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী শাহজাহান কামালকে এই মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘আপনাকে বিমান (বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স) নিয়ে সবচেয়ে বেশি গালি খেতে হবে।’ বৃহস্পতিবার সকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মেনন এ কথা বলেন।

Advertisement

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। মেননকে সরিয়ে বুধবার লক্ষীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামালকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মেনন পেয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

শাহজাহান কামালকে মেনন বলেন, ‘আপনার একটা বক্তব্য (প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটির ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত) টেলিভিশনে খুব জোরেশোরে প্রচার হচ্ছে, এটা ঠিক যে বিমান নিয়ে অনেক সংকট আছে। এটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি গালি খাবেন। বিমানের এমডি সাহেবের সামনেই বলছি, আমাদের যত অর্জন সব বিমানেই শেষ হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘পরশু আমরা একনেকে আলাপ করছি সিভিল অ্যাভিয়েশন নিয়ে, চলে আসল বিমান। দুই পক্ষ থেকে বেশ কথাবার্তা বললো, আমি চুপ করে শুনলাম। তোফায়েল সাহেব এত বেশি সমালোচনা করলেন যে, উনি (প্রধানমন্ত্রী) বললেন যে আপনি দায়িত্ব নেন, তখন তিনি (তোফায়েল) মাফ চেয়ে বলেছেন আমি দায়িত্ব নেব না। এই ধরনের ঘটনাও হয়ে গেছে।’

Advertisement

‘আপনি (শাজাহান কামাল) বিমান নিয়ে সংকটে থাকবেন কিছুটা এই সেন্সে যে লাগেজ দেরি হয়ে গেছে তিন ঘণ্টা, তবে আপনাকে এটা বলি এই বোর্ড আসার পর প্রথম লাগেজ ২০ মিনিটে এবং শেষ লাগেজ ৮৫ মিনিটে দেয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।’

মেনন বলেন, ‘অন্যদেশে আধ ঘণ্টা হেঁটে ইমিগ্রেশন করতে হয়, আমাদের এখানে প্লেন থেকে নেমেই ইমিগ্রেশন ও প্লেন থেকে নেমেই লাগেজ। অন্য দেশে যে আধ ঘণ্টা হাঁটে সেটা মনে থাকে না। এসেই বলে আমার লাগেজ কই?’

নতুন মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সদ্য বিদায়ী মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনার জন্য আরেকটু অসুবিধা হবে সেটা হচ্ছে, ‘বিমানকে এসেনশিয়াল সার্ভিস ঘোষণা করা হয়েছে, এতে সিবিএ-টিবিএ আছে তারা একটু অসন্তুষ্ট। এটা আপনাকে বলে রাখলাম, যদিও আমার সঙ্গে সিবিএ’র অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। বেতন-ভাতা থেকে সবকিছুই আমরা সমাধান করেছি।’

তার সময়ে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরেন রাশেদ খান মেনন।

Advertisement

নতুন সমাজকল্যাণমন্ত্রী মেনন বলেন, ‘যখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই (বিমান ও পর্যটন) মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিলেন তখন অনেকে আমাকে তাচ্ছিল্য করে বলেছিলেন, একটা ডুবন্ত জাহাজ তোমাকে তুলতে দেয়া হয়েছে। আমি আজ তৃপ্ত মনে বিদায় নিচ্ছি এজন্য যে, অন্তত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি।’

বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সংস্থার কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে শাহজাহান কামালের উদ্দেশ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন বলেন, ‘আপনার নেতৃত্বে এই মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের যে গতি রয়েছে তা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং যে ভিত্তি তৈরি হয়েছে সেই ভিত্তির উপর সৌধ গড়ার কাজটি করতে পারবেন বলে বিশ্বাস করি।’

অনুষ্ঠানে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা এবং অধীন সংস্থা প্রধানরা রাশেদ খান মেননদের নেতৃত্বের প্রশংসা ও নতুন মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন।

আরএমএম/এসএইচএস/আরআইপি