মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কংগ্রেসের সদস্যদের নিশ্চিত করেছেন যে তারা যত দ্রুত সম্ভব পাকিস্তানকে নিরাপত্তা সহায়তা দেয়া বন্ধ করার ঘোষণা দেবে। কংগ্রেসনাল এইড বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মাত্র একদিন আগেই ইসলামাবাদকে সতর্ক করে হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, মার্কিন সহায়তা পেতে হলে তাদেরকে আরও বেশ কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। খবর রয়টার্স।
Advertisement
বেশ কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। বছরের প্রথম দিনেই ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘জঙ্গি দমনের নামে ১৫ বছর ধরে পাকিস্তান আমাদের থেকে ৩৩০০ কোটি ডলার নিয়ে গিয়েছে। বিনিময়ে মিথ্যা আর প্রতারণা ছাড়া কিছুই করেনি।’
হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে সামরিক খাতে যে ২৫ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার সাহায্য দেওয়ার কথা ছিল, আপাতত তা বন্ধ রাখা হচ্ছে।
পাকিস্তানে সাহায্য বন্ধ করার বিষয়ে জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করে আসছে। তারা একই সময়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করছে, সহায়তা নিচ্ছে আবার আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের উপর হামলাকারীদেরও আশ্রয় দিচ্ছে।
Advertisement
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের সমর্থক ও আশ্রয়দাতা পাকিস্তানকে সব রকম সাহায্য বন্ধ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহু দূর যেতে তৈরি।’
নিকি হ্যালি পাকিস্তানের দ্বিমুখী আচরণের সমালোচনা করায় পাকিস্তানের দূত মালিহা লোধি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে পারে পাকিস্তান।
হ্যালি অভিযোগ করে বলেন, বছরের পর বছর আমাদের সঙ্গে দ্বিমুখী আচরণ করে আসছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বরাবর ওরা আমাদের শরিক হিসেবে থেকেছে। অথচ একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় ও সাহায্য জুগিয়ে এসেছে। ওই সন্ত্রাসীরাই আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর উপর বারবার হামলা চালিয়েছে।
এদিকে পাকিস্তান সরকারের পররাষ্মট্ন্ত্রীর খাজা আসিফ বলেছেন, ১৫ বছরে ৩,৩০০ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়ার যে দাবি ট্রাম্প প্রশাসন করছে, তা মিথ্যা। কোনও অডিট সংস্থাকে দিয়ে পরীক্ষা করালেই তা প্রমাণ হয়ে যাবে।
Advertisement
টিটিএন/আরআইপি