জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আজ বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতে হাজিরা দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
Advertisement
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাইল্লাহ মিয়া জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা দিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হবেন। এ দিন রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার পক্ষে ৭ম দিনের যুক্তি উপস্থাপন করবেন আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী এবং জিয়া চ্যারিচেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে বুধবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে ৬ষ্ঠ দিনের মতো যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন তার আইনজীবী। বুধবার যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন। গতকাল বেলা ১১টা ৩৮ মিনিটে বিশেষ আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। এরপর বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে তার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ৬ষ্ঠ দিনের মতো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার পক্ষে উপস্থাপন শুরু করেন। দুপুর ২টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত তিনি তার যুক্তি উপস্থাপন করেন। এদিন তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় সময় প্রার্থনা করলে আদালত বৃহস্পতিবার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
Advertisement
২৮ ডিসেম্বর পঞ্চম দিনের মতো খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা। যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ৩ ও ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
Advertisement
এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
জেএ/এআরএস/আরআইপি