অর্থনীতি

আসছেন ক্রেতা-দর্শনার্থী, বাড়ছে বিকিকিনি

সংখ্যায় কম হলেও ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আসতে শুরু করেছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। কম-বেশি বিকিকিনিও হচ্ছে। গতকাল মেলার তৃতীয় দিনে সকাল থেকে আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ে সংখ্যাও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেচাকেনা হচ্ছে। তবে আগামী শুক্রবার থেকে প্রকৃত মেলার চিত্র ফুটে উঠবে।

Advertisement

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে মাসব্যাপী এ মেলা আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেলার উদ্বোধন করেন।

গতকাল সরেজমিন মেলা ঘুরে দেখা যায়, শুরুর দিনে অনেক স্টলে বিক্রি না হলেও দ্বিতীয় দিন থেকে বেচাকেনা শুরু হয়। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সাড়া পেয়ে আশাবাদী স্টল মালিকরা। প্রায় প্রতিটি স্টল-প্যাভিলিয়নে রয়েছে নানা আয়োজন ও আকর্ষণীয় সব অফার।

এদিকে, তৃতীয় দিনেও কিছু স্টল ও প্যাভিলিয়নে নির্মাণকাজ ও অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার কাজ করতে দেখা যায়। তবে মেলার মাঠে ধুলামুক্ত পরিবেশ এবং গতবারের চেয়ে এবার চলাচলের জন্য ভালো ব্যবস্থা থাকায় অল্প সময়ে অধিকাংশ স্টল ঘুরে কেনাকাটা করতে পেরে বেজায় খুশি ক্রেতা-দর্শনার্থীরা।

Advertisement

ক্রেতা সমাগম নিয়ে মেলায় অংশ নেয়া তানিন গ্রুপের ডিজিএম (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) এস এ বি বাকিউল হক বলেন, মেলা শুরু প্রথম দু-তিনদিন ক্রেতা-দর্শনার্থী কম হয়। আশা করছি আগামী শুক্রবার থেকে ক্রেতা সমাগম বাড়বে। তখন বেচাকেনাও বাড়বে।

তবে এ বিষয়ে ভিন্ন কথা বলেন আরএফএল’র প্রিমিয়ার স্টল ৪৬-এর ইনচার্জ সিরাজুল গনি মঞ্জু। তিনি জানান, গত তিনদিনে তারা অনেক ক্রেতা পেয়েছেন। বিক্রিও ভালো হয়েছে। আগামীতে বিক্রি আরো বাড়বে।

মেলায় ক্রেতা আকর্ষণে পণ্যে নানা ছাড় ও অফার দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়নে নতুন পণ্য প্রদর্শন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান রপ্তানিযোগ্য পণ্য প্রদর্শন করায় ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। আবার বিদেশি স্টলগুলোর পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ লক্ষ্য করা গেছে।

মেলায় যেসব স্টল ও প্যাভিলিয়নে পণ্য সাজানো হয়েছে সেগুলোতে বিক্রিতে ভালো সাড়া মিলছে। প্রাণ প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মী সাইফুল ইসলাম জানান, শুরুর দিন থেকেই তাদের স্টলে ক্রেতাদের ভিড় লেগে আছে।

Advertisement

স্মার্টটেক্সের বিক্রয়কর্মী আশ্রাব আলী বলেন, মেলা উপলক্ষে এবার ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি শুরু করেছেন তারা।

এবার মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন ছাড়াও ৬৫টি প্রিমিয়াম প্যাভিলিয়ন, ১৬টি সাধারণ প্যাভিলিয়ন, ২৩টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন, ছয়টি রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন, সাতটি রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন, ৭২টি প্রিমিয়ার স্টল, ১৩টি বিদেশি প্রিমিয়ার স্টল, ২৫৩টি সাধারণ স্টল, ৩১টি খাবারের স্টল, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ২০টি স্টল, একটি বাণিজ্য তথ্য কেন্দ্র, তিনটি রেস্টুরেন্ট এবং মা ও শিশুদের জন্য তিনটি স্টল রয়েছে।

এমএ/এসআর/এমআরএম/জেআইএম