মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় অধিদফতর গঠনের বিধান রেখে ‘মানসিক স্বাস্থ্য আইন-২০১৭’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Advertisement
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘১৯১২ সালের লোনেসি অ্যাক্ট নামে একটি আইন ছিল। যারা মানসিকভাবে অসুস্থ তাদের সুরক্ষায় এ আইনটি করা হয়। ১৯১২ সাল থেকে ১০৫ বছর পার হয়ে গেছে, এজন্য ওই আইনকে আপডেট করে নতুনভাবে এ আইনটি আনা হয়েছে।’
Advertisement
শফিউল আলম বলেন, ‘নতুন আইনে ২৮টি ধারা প্রস্তাব করা হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের জন্য পরিচালক পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে একটি অধিদফতর প্রতিষ্ঠা করা হবে। জেলা পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ মনিটরিং কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে আইনে। জেলা প্রশাসক হবেন এর সভাপতি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ আইনের অধীনে মানসিক হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। আগে থেকে যেটা করা হয়েছে সেটা নতুন আইনে চলবে। বেসরকারি মানসিক হাসপাতাল খোলার লাইসেন্স দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে খসড়া আইনে। এতে মানসিক হাসপাতাল তল্লাশি ও জব্দেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’
‘এ আইন কার্যকরের ৯০ দিনের মধ্যে যে মানসিক হাসপাতালগুলো আগে করা হয়েছে সেগুলোর লাইসেন্স নিতে হবে। আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তি পেতে হবে। বেসরকারি মানসিক হাসপাতাল স্থাপনের লাইসেন্স দেয়া, নবায়ন, ফি-এগুলো বিধি দিয়ে নির্ধারণ করা হবে।’
মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা এবং স্বেচ্ছায় ভর্তির প্রক্রিয়া কী হবে তাও উল্লেখ আছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘কিছু ফৌজদারি দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে খসড়া আইনে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স বিহীন মানসিক হাসপাতাল চালালে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা ৩ বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দেয়া হবে। একই অপরাধ আবার করলে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া যাবে।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে কোনো ধরণের অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করলে প্ররোচণাকারী ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা দুই বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
অভিভাবক বা ব্যবস্থাপক মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা বা সম্পত্তির তালিকা প্রণয়ন বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে অবহেলা বা আদালতের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে ৫ লাখ টাকা অর্থ দণ্ড বা ৩ বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আরএমএম/এমএমজেড/এমএস