জাতীয়

কৃষিপণ্যের দাম সরকারিভাবে নির্ধারণের তাগিদ

দেশে উৎপাদিত সব কৃষিপণ্যের মূল্য সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেয়ার তাগিদ দিয়েছে জাতীয় সংসদের এ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি। একই সঙ্গে বাজারে পণ্যের ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম মনিটরিং করার বিষয়েও বলা হয়েছে।

Advertisement

জাতীয় সংসদ ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তাগিদ দেয়া হয়। সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়।

কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বলেন, আলুসহ অনেক কৃষিপণ্য দেশে পর্যাপ্ত উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু বাজারে এর মূল্য নেই বললেই চলে। যে কারণে পণ্য উৎপাদনে যে টাকা খরচ করা হচ্ছে বিক্রি করে অনেক সময় সেই টাকাই ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা। এমন চললে কৃষকরা উৎপাদনবিমুখ হয়ে যাবেন বলেও মন্তব্য করেন তারা।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ধান, চাল, গম ও তামাক ছাড়া অন্য কোনো কৃষিপণ্যের মূল্য সরকারিভাবে নির্ধারণ করা হয় না। আন্ত:মন্ত্রণালয় সভার মাধ্যমে সরকারিভাবে ধান, চাল, গম ও তামাকের সরকারি ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়। চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে আলু ও অন্যান্য কৃষিপণ্যের মূল্য বাজার কর্তৃক স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত হয়ে আসছে।

Advertisement

মন্ত্রণালয় জানায়, বাজার মনিটরিং এবং বাজার সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে কৃষিপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল করার জন্য কৃষি বিপণন অধিদফতর চেষ্টা করে। উৎপাদন খরচ ও মূল্য বিস্তৃতির ওপর ভিত্তি করে যৌক্তিক মূল্যে কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের লক্ষ্যে পাইকারী পর্যায়ে ২ থেকে ৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে আলু ও মসলা জাতীয় পণ্যে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ এবং অন্যান্য পচনশীল শাকসবজিতে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে পাইকারী ও খুচরা পর্যায়ে কৃষিপণ্য ক্রয় বিক্রয় কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়ে থাকে। বৈঠকে কমিটি ধান চালের মতো অন্যান্য কৃষিপণ্যের মূল্যও সরকারিভাবে নির্ধারণের সুপারিশ করে।

কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান, মো. মামুনুর রশীদ কিরন, একেএম রেজাউল করিম তানসেন, মো. নূরুল ইসলাম ওমর এবং উম্মে কুলসুম স্মৃতি অংশ নেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/এমআরএম/এমএস

Advertisement