যশোরে ঘুষের দুই লাখ টাকাসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নাজমুল কবীরকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকা থেকে আসা দুদকের ৯ সদস্যের একটি টিম বুধবার বিকেলে ফাঁদে ফেলে তাকে আটক করে।
Advertisement
যশোরের দেশীয় মদ ব্যবসায়ী শেখ মহব্বত আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। আটক নাজমুল কবীর ফেনী সদর উপজেলার বারাইপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া দুদক ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ার জানান, যশোর শহরের লোন অফিসপাড়ার ব্যবসায়ী শেখ মহব্বত আলীর নাভারণে একটি দেশি মদের দোকান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন নিয়ে নাভারনে তিনি বাংলা মদের ব্যবসা করেন। কিন্তু তার লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর যশেরের উপ-পরিচালক নাজমুল কবির ওই ব্যবসায়ীর লাইসেন্স প্রায় তিন মাস আগে নিজের হেফাজতে নেন।
ব্যবসায়ী টুটুলের অভিযোগ ছিল, তার দেশীয় মদের ব্যবসার লাইসেন্সের জন্য তিনি গত জুলাই মাসে যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে আবেদন করেছিলেন। তার কাছে লাইসেন্স বাবদ তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। কিন্তু শেখ মহব্বত আলী ঘুষ দিতে রাজি হননি। ঘুষ না দেয়ায় গত ৬ মাস ধরে টালবাহানা করছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক নাজমুল কবীর। এক পর্যায়ে ১০ দিন আগে দুদকের টোল ফ্রি ১০৬ নম্বরে ফোন করে শেখ মহব্বত আলী অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে ৯ সদস্যের টিম গঠন করা হয়।
Advertisement
এদিকে টুটুল দুদকের পরামর্শে লাইসেন্স নবায়নের জন্য দুই লাখ টাকায় রফা করেন। বুধবার দুপুরে টুটুল ঘুষের দুই লাখ টাকা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের যশোর অফিসে এসে উপ-পরিচালক মো. নাজমুল কবিরের কাছে হস্তান্তর করেন। নাজমুল কবির ওই টাকা রাখেন নিজ ড্রয়ারে।
এরপর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে দুদকের একদল কর্মী হানা দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর যশোর অফিসে। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতে ঘুষের দুই লাখ টাকা উদ্ধার হয়। আটক করা হয় উপ-পরিচালক নাজমুলকে।
নাসিম আনোয়ার বলেন, অফিসে ঢুকে প্রথমেই উপ-পরিচালকের ড্রয়ারের চাবি নেয়া হয়। ড্রয়ার খুলে দুই বান্ডিলে দুই লাখসহ আরও কয়েক বান্ডিল টাকা পাওয়া যায়।
যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, নাজমুলকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হচ্ছে।
Advertisement
মিলন রহমান/আরএআর/পিআর