নববর্ষের শুভেচ্ছা বাণীতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের দেয়া হুমকির জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার পারমাণবিক বোমার বোতাম ‘আরো বড় এবং আরো শক্তিশালী’।
Advertisement
দুই দেশের পাররমাণবিক অস্ত্রধারী দুই নেতার কথার লড়ায়ে সর্বশেষ উত্তেজনা ছড়িয়েছেন কিম। নতুন বছর ২০১৮ সালের প্রথম দিনে তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক বোমার বোতাম সবসময় তার টেবিলেই থাকে।’
এর জবাবে মঙ্গলবার এক টুইটে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন যে ‘তার টেবিলে সবসময় পারমাণবিক বোতাম থাকে। বিলুপ্ত প্রায় এবং অনাহারে থাকা শাসনব্যবস্থার কেউ কি তাকে (কিম জন উন) দয়া করে বলবেন যে, আমারও একটি পারমাণবিক বোতাম আছে, এটি তার বোতামের চেয়ে অনেক বড় এবং আরো বেশি শক্তিশালী। আমার বোতাম কাজও করে।’
পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জেরে অতীতেও কিম এবং ট্রাম্প বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। গত কয়েক মাস ধরে পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জেরে কোরীয় দ্বীপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় এ দুই নেতা পাল্টাপাল্টি হুমকি দিতে থাকেন।
Advertisement
North Korean Leader Kim Jong Un just stated that the “Nuclear Button is on his desk at all times.” Will someone from his depleted and food starved regime please inform him that I too have a Nuclear Button, but it is a much bigger & more powerful one than his, and my Button works!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) January 3, 2018গত সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ট্রাম্পকে ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত মার্কিন বৃদ্ধ’ বলে মন্তব্য করেন। এর জবাবে ট্রাম্প এক টুইটে বলেন, ‘আমাকে বুড়ো বলে কেন অপমানিত করলেন কিম জং উন এবং আমি কখনোই তাকে ‘খাটো এবং মোটা’ বলব না। বেশ, আমি তার বন্ধু হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি এবং হয়তো একদিন তার বন্ধু হয়ে যাবো!’
সেসময় ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটা খুব, খুব ভালো হবে যদি তিনি এবং কিম বন্ধু হয়ে যান। এটা অদ্ভূত ঘটনা হতে পারে, তবে এটি হওয়ারও সম্ভাবনা আছে।’
একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র হুমকিতে পড়লে উত্তর কোরিয়ার ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে ‘পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন’ করে দেবেন বলে জাতিসংঘে দেয়া প্রথম ভাষণে পিয়ংইয়ংকে হুমিক দেন ট্রাম্প। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী রি ইয়ংয়ের ভাষণের পর ট্রাম্প টুইটে বলেন, জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্য শুনলাম। তিনি যদি ‘ক্ষুদে রকেট মানবের’ মতো কথা বলেন, তাহলে তারা আর টিকে থাকতে পারবে না।
Advertisement
উত্তর কোরিয়া বলছে, তাদের যে পারমাণবিক অস্ত্র আছে তা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। বিশ্লেষকরাও বলছেন, পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক অস্ত্র আছে। তবে যুদ্ধের সময় তা ব্যবহারের উপযোগী কি না তা পরিষ্কার নয়।
সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
এসআইএস/পিআর