জাতীয়

সায়েদাবাদে ঘরমুখো মানুষের স্রোত

নাড়ির টানে গ্রামে স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সোমবার থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। পরবর্তীতে মঙ্গলবার গড়িয়ে আজও (বুধবার) ঢাকা ছাড়ছেন হাজার হাজার মানুষ।বুধবার সকালে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে এরকম চিত্রই দেখা গেছে। গ্রামে ফিরে যাওয়ার আনন্দে যেন হাসছে পুরো সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল।এদিকে, স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঘরমুখো মানুষের মুখের হাসি দেখলে মনে হবে অগ্রিম টিকিট প্রাপ্তির কষ্টটা যেন ফিকে হয়ে গেছে। যাত্রা শুরুর আগ মুহুর্তে তাই সবার মুখে যেন আনন্দের হাসি।সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার সরকারি ছুটি থাকার কারণে অনেকেই বৃহস্পতিবারও ছুটি নিয়েছেন। পরিবার পরিজনকে নিয়ে রওয়ানা হয়েছেন গ্রামের উদ্দেশ্যে । সরকারি ছুটি শুরু হতে বৃহস্পতিবার বাকী থাকলেও সায়েদাবাস বাস টার্মিনালের অবস্থাদৃশ্যে মনে হতে পারে আজ থেকেই যেন সব কিছু বন্ধ হয়ে গেছে।এছাড়া পবিত্র শবে ক্বদরের নামাজ শেষ রাতে সেহেরী খেয়েও পরিবার পরিজনকে নিয়ে অনেকেই সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে এসে যথাসময়ে বাড়িতে রওয়ানা করেছেন বলেও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সূত্রে জানা গেছে।চট্টগ্রামের হালিশহরের বাসিন্দা সরকারি কর্মকতা ইউসুফ আলী হাশিমাখা মুখে এই প্রতিবেদককে বলেন, স্ত্রী ও সন্তানদেরকে নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাবা মায়ের কাছে যাচ্ছেন তিনি। অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিন হানিফ পরিবহন থেকে টিকিট নিয়েছিলেন তিনি।একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তামান্না মৌসুমী উচ্ছসিত কন্ঠে বলেন, সব পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি যাচ্ছি। পরিবারের সবার সঙ্গে কতই না আনন্দ হবে। সেই কল্পনা করতে করতে বাড়িতে পৌঁছানোর প্রহর গুনছি।এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি শহর ছেড়ে আসা বাস পরিবহন কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, অগ্রিম টিকিট যারা ক্রয় করেছিলেন তারা যথাসময়ে কাউন্টারে এসে উপস্থিত হয়েছেন। আর বেশিরভাগ বাসই যথাসময়ে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে।তবে চাঁদপুরগামী কয়েকটি পরিবহনের কাউন্টারে কথা বলে জানা যায়, লঞ্চ পথে চাঁদপুর যাওয়ার ব্যবস্থা থাকার কারণে এখনো সায়েদাবাদ যাত্রীরা ভিড় করেননি। তবে ইদের আগের দিন তাদেরকে যাত্রীদের প্রচণ্ড ধকল সহ্য করতে হয় বলেও তারা জানান। এমএম/এসআইএস/এমআরআই

Advertisement