ক্রিকেটের মক্কা যদি হয় লর্ডস, তাহলে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডকে (এমসিজি) কী বলা যাবে! টেস্ট কিংবা ওয়ানডে- দুই ফরম্যাটের ক্রিকেটের অভিষেকই তো হয়েছিল এই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে। অথচ এমসিজির উইকেটই শেষ পর্যন্ত ‘বাজে উইকেট’ উপাধি পেয়ে গেলো আইসিসির পক্ষ থেকে।
Advertisement
চলতি অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টটি অনুষ্ঠিত হলো মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। বক্সিং ডেতে শুরু হওয়া এই টেস্টটির ভাগ্য নির্ধারিত হয়নি। শেষ পর্যন্ত শেষ হয়েছিল বিরক্তিকর ড্র’য়ের মধ্য দিয়ে। ৫ দিনে সর্বমোট ২৪ উইকেট পড়লেও টেস্ট ম্যাচটা ছিল সবার জন্যই বিরক্তিকর। উইকেট এতটাই বাজে ছিল যে, উপভোগ্য ম্যাচ উপহার দিতে পারেনি ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা।
ম্যাচ চলাকালীনই মেলর্বো ক্রিকেট ক্লাব ঘোষণা দিয়েছিল তারা উইকেট এবং আউটফিল্ড রিভিউ করে দেখবে। কেন উইকেটের এমন বাজে অবস্থা এবং কেন আউটফিল্ড খারাপ আচরণ করলো- এসব বিষয়ে তারা কারণ অনুসন্ধান করে দেখবে।
এরই মধ্যে আইসিসি থেকে ‘পুওর’ আখ্যা দিয়ে দেয়া হলো মেলবোর্নের উইকেটকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার জন্য ১৪দিন সময় দিয়েছে আইসিসি। এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার কোনো উইকেটকে আইসিসি ‘বাজে’ আখ্যা দিল। তবে, গত নভেম্বরে নারী অ্যাশেজ টেস্টে নর্থ সিডনি ওভালের উইকেটকে এবড়ো-থেবড়ো এবং গড়পড়তার চেয়েও অনেক নিচু মানের আখ্যা দিয়েছিল আইসিসি। বলা হয়েছিল ওই উইকেটটি ‘বাজে’। এরপর পরই মেলবোর্নের উইকেট পর্যন্ত ‘বাজে’ উপাধি পেয়ে গেলো।
Advertisement
ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে উইকেটের অবস্থা নিয়ে নিজের রিপোর্টে লিখেছেন, ‘মেলবোর্নের উইকেট ছিল হালকা মিডিয়ান বাউন্সের। কিন্তু এবার দেখা গেলো এই উইকেটটা শুরুতেই স্লো। ম্যাচ যত এগিয়েছে উইকেট তত স্লো হয়েছে। এই উইকেটটি সাধারণত ৫ম দিনেও কোনো পরিবর্তন আসে না। একই রকম থাকে। এমনকি স্বাভাবিকভাবে উইকেটে কোনো ক্ষয়ও তৈরি হয় না। ফলে এই উইকেট তো কোনোভাবেই ব্যাটে-বলে লড়াই না হওয়ার কথা নয়! এটা ব্যাটসম্যানদের পক্ষে যাবে না কিংবা বোলাররাও হুট-হাট উইকেট পেয়ে বসবে না- এমন তো হওয়ার কথা ছিল না।’
আইএইচএস/আইআই