জাতীয়

‘মাদক নির্মূলে প্রয়োজন দেখামাত্র গুলি’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ নয়, দরকার নির্মূল। আর মাদক নির্মূলে প্রয়োজন ‘শ্যুট অন সাইট’ (দেখামাত্র গুলি করা)। উন্নত বিশ্বে এটি আছে। লিখে রাখেন আমার মৃত্যুর একশ বছর পরও মাদক নির্মূল সম্ভব হবে না, যদি মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে গৃহীত সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা না যায়।

Advertisement

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা স্বাধীনতার পর থেকে অঙ্গীকার করছি মাদকমুক্ত দেশ গড়বো। এখন তো সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের সাথে মাদককে হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। যুদ্ধ করলে, চেষ্টা করলে দেশ ও বিশ্ব থেকে একদিন না একদিন জঙ্গীবাদ দমন হয়ে যাবে। কিন্তু মাদক? মাদকের ক্ষেত্রে সমূলে নির্মূল না করলে সম্ভব নয়। শুধু অঙ্গীকার করলেই মাদক নির্মূল হয় না। এক লাখ নিরাময় কেন্দ্র গড়েন। ইউনিয়ন পর্যায়েও নিরাময় কেন্দ্র গড়ে তোলেন। আরও এক লাখ জনবল নিয়োগ দিলেও মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন দরকার।

গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, মাদক নির্মূলে দল মত নির্বিশেষ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমার তো মনে হয় এ নিয়ে সংসদে ও সংসদের বাইরে ২-৪ মাস আলোচনা হতে পারে। জাতীয়ভাবে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে মাদক থাকবে কি থাকবে না। বলা হোক, অমুখ তারিখ পর্যন্ত সময় দেয়া হলো, ঈমান ঠিক করেন। এরপর হবে অ্যাকশন। শ্যুট অন সাইট। আমাদের প্রয়োজনে তাই করতে হবে। আমার কথা অনেকের কাছে অপ্রিয় মনে হতে পারে। কিন্তু এই সমস্যাটা এমন যে, এটার জন্য ঐক্যে পৌঁছা কঠিন।

Advertisement

মন্ত্রী আরও বলেন, মাদক নির্মূলে আমাদের ফর্মূলা আছে। সেটা বাস্তবায়নের জন্য দৃঢ়তা থাকতে হবে। সরকারের সদিচ্ছা আছে। এখন শুধু বাস্তবায়ন। শিক্ষার ক্ষেত্রে নৈতিকতার পাঠ-নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। মাদককে না বলার পাঠ থাকছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য টিপু মুন্সি বলেন, দেশে জনসংখ্যার ৭০ লাখ মাদকাসক্ত। এটা আরও বাড়তে পারে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের যে সীমিত ক্ষমতা তা দিয়ে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। এজন্য সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের অধিকতর চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) জামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এমদাদুল হক।

জেইউ/এআরএস/এমএস/আইআই

Advertisement