জাতীয়

শিশু রাজনের খুনিদের ফাঁসি দাবি খেলাঘর আসরের

১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে পৈশাচিক নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি দাবি করেছে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর। পাশাপাশি ওই ঘটনার বাকি খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতারে আওতায় এনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচারেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশের মাধ্যমে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।সমাবেশ থেকে রাজনের খুনিদের জামিন নামঞ্জুর করা, সৌদি আরবে গ্রেফতার প্রধান খুনি কামরুলকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি এবং এই হত্যাকাণ্ডের বিচারকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার দাবি জানানো হয়।অপরাধীদের সমস্ত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে শিশু রাজনের পরিবারকে প্রদান, রাজনের পরিবারের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রাজন হত্যা মামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগেরও দাবি জানানো হয়। এর আগে সকল শিশু অপহরণ, হত্যা ও নির্যাতনের ক্ষেত্রেও একই দাবি জানান খেলাঘর সংগঠকরা।খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমন্ডলীর চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা পান্না কায়সারের সভাপতিত্বে সমাবেশ-মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কামাল চৌধুরী, আব্দুল মতিন ভূঁইয়া ও শফিকুর রহমান শহীদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান শাহীন ও সাহাবুল ইসলাম বাবু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মণ্টু, সদস্য পারুল আকতার, রাজন ভট্টাচার্য, আনিসুল ইসলাম অপু প্রমুখ। শিশু রাজন হত্যাকারীদের শাস্তির জন্য দেশব্যাপী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, নিহত রাজনের কাছে, তার বাবা-মায়ের কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি। ক্ষমা চাইতে হবে দেশের প্রত্যেক বিবেকবান মানুষকে, সরকার ও রাষ্ট্রকে। দেশের প্রত্যেক শিশুর জন্য নিরাপদ, সুখী-সুন্দর ও আনন্দময় শৈশব গড়ে তুলতে পারলেই কেবল রাজনের আত্মার শান্তি হবে। শোকসন্তপ্ত পরিবারটির ক্ষতের কিছুটা হলেও উপশমের জন্য প্রয়োজন, রাজন হত্যার সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার, এ ধরনের আর একটি ঘটনাও ঘটতে না দেওয়া এবং নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনের কঠোর প্রয়োগসহ যেকোনো ধরনের শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ও চিরতরে নির্মূল করা।প্রসঙ্গত গত ৮ জুলাই সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের রাজনকে সিলেট নগরীর কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের পাশে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও খুঁচিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে মুহিত আলম ও তার ভাই সৌদি প্রবাসী কামরুল ইসলাম, আলী হায়দার ওরফে আলী ও তাদের সহযোগী চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাসহ নরপিশাচরা।এইচএস/একে/আরআই

Advertisement