আন্তর্জাতিক

ইরানে বিক্ষোভকারীদের বড় অস্ত্র সোশ্যাল মিডিয়া

ইরানে বিক্ষোভকারীরা তাদের প্রতিবাদী কর্মসূচিগুলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে। তারা মূলত টেলিগ্রাম এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে প্রতিবাদের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার উত্তর পূর্বের মাশাদ শহর থেকে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভ গত চার-পাঁচদিনে অনেকগুলো শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হবার খবর দিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি। জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধির মতো অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে এ বিক্ষোভ শুরু হলেও এখন তা রাজনৈতিক চেহারা নিয়েছে এবং এগুলো থেকে ধর্মীয় নেতা-নিয়ন্ত্রিত সরকারকে উৎখাতের ডাকও দেয়া হচ্ছে।

দেশটির ৮ কোটি জনসংখ্যার ৫০ শতাংশেরও বেশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাম ও ইনস্টাগ্রামে সক্রিয়। ইরানের কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় এই সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। তারপরও গত ক’দিন ধরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন শহরে।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরিব বলেছে, 'সাময়িক' এই বিধিনিষেধ শান্তি বজায় রাখার জন্য দরকার।

Advertisement

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি নতুন এক ভাষণে বলেছেন, সরকারবিরোধী এসব বিক্ষোভ 'কিছুই নয়।' তিনি বলেন, সমালোচনা এবং প্রতিবাদ তাদের জন্য কোন হুমকি নয় বরং সুযোগ এবং আইনভঙ্গকারীদের মোকাবিলা করা হবে।

বিক্ষোভকারীরা প্রধানত তরুণ এবং তারা বিশেষ করে টেলিগ্রাম ও ইন্সটাগ্রামের মত প্ল্যাটফর্মগুলোকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। টেলিগ্রামের প্রধান নির্বাহী পাভেল দুরোভ টুইট করেছেন যে তার কোম্পানি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দিতে অস্বীকার করার পরই ইরানি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়।

পাভেল দুরোভ টেলিগ্রামে এক পোস্ট দিয়ে জানান, বিদেশভিত্তিক একটি বড় সরকারবিরোধী চ্যানেল আমাদনিউজকে পুলিশের বিরুদ্ধে সহিংসতার আহ্বান জানানোর পর টেলিগ্রাম নিজেই শনিবার ব্লক করে দেয়।

তিনি বলেন, তাদের লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের জন্য একটি নতুন শান্তিপূর্ণ চ্যানেল খোলা হয়েছে- তবে এতে ঢোকার ওপর এখন বিধিনিষেধ আছে।

Advertisement

ইরানের যোগাযোগ মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ আজারি জাহরোমি এর আগে অভিযোগ করেন, আমাদনিউজের মতো চ্যানেলগুলো সশস্ত্র অভ্যুত্থান, সামাজিক অস্থিরতা ও পেট্রোল বোমা ব্যবহারের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

বিবিসি

এমবিআর/এমএস