দেশজুড়ে

এবার বরিশালে দুই শিশুকে নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশ

বরিশাল নগরীর আমতলা মোড়ে অবস্থিত সমাজ সেবা অধিদফতর পরিচালিত সরকারি শিশু সদনে বালিকা (উত্তর) অনাথ দুই শিশুকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে ওই সদনে কর্মরত কম্পাউন্ডার মো. দুলাল মিয়া। শনিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটলে এর ভিডিওচিত্র  সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে টনক নড়ে প্রশাসনের। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে জেলা প্রশাসক ড. গাজী সাইফুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত দায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।  মারধরের শিকার দুই শিশু হলো, সদনের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী বাবুগঞ্জ উপজেলার ভূতেরদিয়া গ্রামের বিউটি বেগমের মেয়ে ডালিয়া (১০) ও তাজকাঠি গ্রামের মোস. তাছলিমা বেগমর মেয়ে আঁখি (৯)।  শিশু সদনের উপ তত্ত্বাধায়ক ইসমত আরা খানম জাগো নিউজকে জানান, ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে শিশু সদনে থাকা ডালিয়ার মা বিউটি বেগম মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। চলে যাবার সময় ডালিয়া তার সঙ্গে যেতে চায়। এরপর কাউকে না বলে চলে গেলে সদনের কম্পাউন্ডার মো. দুলাল ডালিয়কে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে দেখতে পেয়ে সদনে ফিরে যেতে বলেন। এরপর সদনে এসে ডালিয়াকে না পেয়ে ডালিয়ার সঙ্গে আঁখিকে সাগরদী বাজারে মোবাইল ফোনের দোকানে দেখতে পায়। এরপর তাদের দুজনকে ডেকে এনে দুলাল মিয়া ভয় দেখানোর জন্য শাসিয়েছেন বলে তিনি জেনেছেন। নির্যাতনের শিকার আঁখি জানায়, তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। তবে এ কথা কাউকে না বলতে নিষেধ করা হয়েছে তাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী জাগো নিউজকে বলেন, সদনের সকল শিশুকে আগে থেকেই শাসানো হয়েছে ঘটনায় মুখ না খুলতে। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে টনক নড়লে জেলা প্রশাসক ড.গাজী মো. সাইফুজ্জামান ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর নির্যাতনের শিকার দুই শিশুর সঙ্গে কথা বলেন। এসময় শিশুদ্বয়কে ভীতসন্ত্রস্ত দেখায়। জেলা প্রশাসক বলেন, শিশুদের বেড়ে ওঠায় সহযোগিতা করে রাষ্ট্র থেকে সবাই। এই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে এবং এর সঙ্গে যিনি জড়িত রয়েছেন তার বিরুদ্ধে আইন অনুায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। ঘটনায়  অভিযুক্ত কম্পাউন্ডার মো. দুলাল লোকজনের উপস্থিতি দেখে সদন থেকে পালিয়ে যান। তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও মোবাইল রিসিভ করেননি।সাইফ আমীন/এমজেড/এমআরআই

Advertisement