মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে রোববার। কিন্তু অনেক কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বরাদ্দ পরে পাওয়ায় এখনো স্টল সাজানোর কাজ শেষ হয়নি। দু-একদিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে। এজন্য রাত-দিন কাজ করছেন শ্রমিকরা। সরেজমিন মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, ভেতরে স্টল বুঝে পাওয়া মালিকরা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী ডেকোরেশনের কাজে ব্যস্ত। প্রাণ-আরএফএল, ভিশন প্যাভিলিয়ন, হাতিল ফার্নিচার, বেঙ্গল ফার্নিচার, আকতার ফার্নিচার, যমুনা ইলেকট্রনিক্স, নাবিস্কো, নাভানার মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করেছে।
Advertisement
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেঙ্গল ফার্নিচারের সহকারী ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) ও মেলা স্টলের ইনচার্য সঞ্জিব ইব্রাহীম বলেন, আমরা আগেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি যেন উদ্বোধনের পরপর বিক্রি শুরু করতে পারি।
তিনি বলেন, প্রথম দিনে কিছু পণ্য বিক্রিও হয়েছে। কিন্তু কম্পিউটারের সফটওয়্যারে একটু সমস্যা হওয়ায় ম্যানুয়ালি পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। সন্ধ্যার পর পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে বলে আশা করি।
মেলা প্রাঙ্গণে পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের বুথ। রয়েছে বিদেশি বিভিন্ন স্টলও। ছোট ছোট স্টলগুলো তাদের সামর্থ অনুযায়ী সাজিয়েছে। তবে বেশিরভাগ ছোট প্রতিষ্ঠানের স্টলের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি।
Advertisement
সরেজমিন আরো দেখা গেছে, অর্ধশত স্টলের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। সেগুলো দ্রুত মেলার উপযোগী করতে কাজ চলছে। মেলা উদ্বোধনের পর ক্রেতা-দর্শনার্থীরা অল্প-স্বল্প করে আসতে শুরু করেছেন। তবে নিজেদের প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় বিক্রি করতে পারছেন না। দেশি-বিদেশি প্রায় সব স্টলের অবস্থাও একই।
এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানি প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মী শরিফ বলেন, আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু স্টল সাজানো শেষ হয়নি। বিকেল নাগাদ বেচাবিক্রি শুরু করতে পারবো।
মেলার ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করলেই হাতের ডানে দেখা যাবে মাঠের ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের কক্ষ। একই স্থানে রয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো কর্মকর্তা ও মেলার সদস্য সচিবের কক্ষ। এছাড়া মেলার মাঝ বরাবর রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির অপর একটি কক্ষ। যেখান থেকে দর্শনার্থীরা মেলা-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাবেন। কিন্তু প্রথম দিন সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মূল সেন্টারের কাজও শেষ হয়নি। সেখানে ধোয়ামোছার কাজ চলছে। এছাড়া মিডিয়া সেন্টারেরও কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। সেখানে বসার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ বিষয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য বলেন, কিছু স্টলের কাজ বাকি আছে। সেগুলোর কাজ দ্রুতই শেষ হবে। অন্য বছরের চেয়ে এবার প্যাভিলিয়নের কাজ দ্রুত শেষ হয়েছে। প্রায় সবাই একসঙ্গে এবার মেলায় পণ্য প্রদর্শন শুরু করতে পারবেন। স্টল গোছাতে বিলম্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, শেষ দিকে লে-আউট প্ল্যানে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এ কারণে একটু দেরি হয়েছে।এবারের মেলায় গতবারের মতো ইকোপার্ক, শিশুপার্ক, মসজিদ, প্রতিবন্ধীদের জন্য অটিজম সেন্টার, মাদার কেয়ার সেন্টার, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালত রাখা হয়েছে।
বাণিজ্য মেলার মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। অন্যবারের তুলনায় এবার প্যাভিলিয়নটি একটু বেশি দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হয়েছে। প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য থাকছে আলাদা পথ।
Advertisement
এমএ/এমএআর/বিএ