বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম চরাদি এলাকায় থার্টি ফার্স্ট উদযাপনের কথা বলে বন্ধুকে নিয়ে এসে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার সকালে চরাদির এলাকার আমানউল্লাহর বাড়ি থেকে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক রোমানের (২১) গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রোমান নলছিটির খোঁজাখালি গ্রামের বাসিন্দা বাদশা খলিফার ছেলে।
একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত রোমানের বন্ধু আমানউল্লাহকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর পালিয়েছে অপর বন্ধু রুহান। আটক আমানউল্লাহর ঘরেই ঘুমন্ত রোমানকে গলা কেটে হত্যা করা হয়ে। আমানউল্লাহ বিএম কলেজের বাংলা বিভাগের ছাত্র ও চরাদি এলাকার মো. আলাউদ্দিনের ছেলে। রুহানের বাড়ি নলছিটি উপজেলায়। সকালে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। আটক আমানউল্লাহ জানান, গত রোববার রাতে থার্টি ফার্স্ট উদযাপনের জন্য রুহান ও সে (আমান) নলছিটি থেকে রোমানকে নিয়ে আসে। তারা তিন বন্ধু রোমানের মোটরসাইকেলে আসার পর রাতে থার্টি ফার্স্ট অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সে অনুষ্ঠানস্থল থেকে আসার পূর্বেই রোমান ও রুহান তার ঘরে আসে। সে (আমান) ঘরে আসার পর রোমানের গলাকাটা মৃতদেহ এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু দেখতে পায়। তার ধারণা রুহান গলা কেটে পালিয়ে গেছে। সে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছে। এছাড়া আমান আর কিছুই বলছে না। নিহত রোমানের বাবা বাদশা খলিফা জানান, গত রোববার দুপুরে নলছিটিতে জিয়াফত অনুষ্ঠান খেয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে তিন বন্ধু চরাদি আসে। সোমবার সকালে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে তার ছেলে খুন হয়েছে এমন সংবাদ শুনে ছুটে আসেন তিনি। এর আগে খুনিরা রোমানের মোবাইল ফোন থেকে তার ছেলের দুর্ঘটনার খবর জানিয়ে ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে বলে। পরে যোগাযোগ করা হলে ওই মোবাইলটি বন্ধ করে দেয়। তবে কি কারণে রোমানকে খুন করা হয়েছে তা তিনিও জানেন না। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদুজ্জামান জানান, রাতের যে কোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। ঘটনার পর রোমানের বন্ধু রুহান পালিয়েছে তার সন্ধানে পুলিশ বিভিন্ন জায়গা বার্তা পাঠিয়েছে। রোমানের বাবা বাদশা খান বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সাইফ আমীন/এমএএস/এমএস
Advertisement