দেশজুড়ে

পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত ৩০, আটক ২৬

পাবনায় ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাত পুলিশসহ ৩০জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কৃষিবিদদের সংগঠন অ্যাবের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন ও দুই পুলিশের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। সোমবার দুপুর ১টার দিকে পাবনা শহরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

Advertisement

আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২৬ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

পুলিশের লাঠিচার্জে আহত অ্যাবের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন

আহত নেতাকর্মীরা জানান, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দুপুর ১টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের করে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনেই পুলিশ তাদের র‌্যালি করতে বাধা দেয়। পরে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে র্যালি করতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

Advertisement

এক পর্যায়ে নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও তাদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তোতা, দফতর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, অ্যাবের সদস্য সচিব ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান জাফির তুহিনসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হন।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় ৪১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

ওসির দাবি, সংঘর্ষের ঘটনায় নেতাকর্মীদের ছোড়া ইট-পাটকেলে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসি সদরসহ ৯ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

আহত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তোতা বলেন, পুলিশ বিনা উষ্কানিতে আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করেছে। এছাড়াও বিনা দোষে নেতাকর্মীদের আটক করেছে।

Advertisement

এদিকে সংঘর্ষের পর থেকে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

একে জামান/আরএআর/আরআইপি