আল্লাহ তাআলা মানুষের অভিভাবক। তিনি মানুষকে সঠিক পথ নির্দেশ করেন। সত্যের সন্ধান দেন। আর সঠিক পথ প্রাপ্তি হলো আল্লাহ তাআলার মহা অনুগ্রহ। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য কল্যাণের দ্বার সব সময় উন্মুক্ত রাখেন।
Advertisement
কারা আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা বা বন্ধু। কাদের অভিভাবকত্ব তিনি গ্রহণ করেছেন। সে সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন-
আয়াতের অনুবাদ
আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণসুরা বাকারার ২৫৭নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা নিজেকে সে সব মানুষের অভিভাবক ও সাহায্যকারী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। যারা ঈমানের মতো পরিপূর্ণ নেয়ামত লাভ করেছেন তারাই আল্লাহর বন্ধু। পক্ষান্তরে যারা ইসলামকে বাদ দিয়ে অন্য মত ও পথ গ্রহণ করেছে তারা ঈমানের নেয়ামত থেকে বঞ্চিত।
Advertisement
আলোচ্য আয়াতের প্রথমাংশে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের সুসংবাদ দিচ্ছেন যে, ‘যারা তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদেরকে তিনি শান্তির পথ প্রদর্শন করবেন এবং সন্দেহ-সংশয়, কুফর ও শিরকের অন্ধকার থেকে বের করে সত্যের পথে নিয়ে আসবেন।
পক্ষান্তরে তাদের জন্য দুঃসংবাদ, যারা শয়তানকে অভিভাবক হিসেবে মেনে নিয়েছে; তাদের অজ্ঞতা, ভ্রষ্টতা, কুফর ও শিরক তাদেরকে ঈমান ও ইসলামের সৌন্দর্য থেকে সরিয়ে অসত্য চরম লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার দিকে নিক্ষেপ করে।
এ কারণে আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে অন্য আয়াতে ঘোষণা করেন-‘আমার সঠিক পথ একটাই; সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ কর; অন্যান্য পথসমূহে চল না; নতুবা তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে; এভাবেই তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন, যেন তোমরা বাঁচতে পার।’ (সুরা আনআম : আয়াত ১৫৩)
পড়ুন- সুরা বাকারার ২৫৬ নং আয়াত
Advertisement
পরিশেষে...মুসলিম উম্মাহর উচিত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের দেখানো পথে এবং মতে নিজের জীবন পরিচালনা করা। তবে তাঁরা দুনিয়া ও পরকালে আল্লাহকে বন্ধু বা অভিভাবক রূপে পাবে। যে ঘোষনা আল্লাহ তাআলা এ আয়াতে কারিমায় দিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর দেখানো ঈমান ও তাওহিদের প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করে তাগুতকে বর্জন করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহকে বন্ধু হিসেবে পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস