ঋণচুক্তি নিয়ে গ্রিসের সঙ্গে ইউরাজোনের সমঝোতা হয়েছে একেবারে শেষ মুহূর্তে । তবে সমঝোতার জন্য ইউরোজোনের নেতারা কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছেন গ্রিসকে। এসব শর্তের উপরই নির্ভর করছে তৃতীয় মেয়াদে গ্রিসের বেইল আউট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। খবর রয়টার্সের।সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে জানায়, নতুন সমঝোতার আওতায় গ্রিসকে তিন বছরে ৮৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হবে। গ্রিসে চলমান সাহায্য অব্যাহত রাখার জন্য দেশটি ২০১৬ সালের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে আবেদন করতে হবে।চলতি জুলাই মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে গ্রিসকে জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগ স্বাধীন করতে হবে; এছাড়া জুলাইয়ের মধ্যে গ্রিকদের ওপর বিস্তৃত কর আরোপ, ভ্যাট হার সহজ করা এবং অবসার ভাতার হার কমাতে আইন পাস করতে হবে। এছাড়া ২২ জুলাইয়ের মধ্যে গ্রিসের ব্যাংকগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যাংকিং নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বিচার ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। এছাড়া উচ্চাকাঙ্ক্ষী অবসরভাতা সংস্কার; ওষুধ ব্যবসার মালিকানা, রোববারের (ছুটির দিন) কেনাবেচা, দুগ্ধ ও ব্যাকারি খাতে কেনাবেচাসহ পণ্যবাজারের সংস্কারে সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।দেশটির বিদ্যুৎ সঞ্চালন নেটওয়ার্ক বেসরকারিকরণ, আর্থিক খাত শক্তিশালীকরণে `নন-পারফর্মিং` ঋণ আদায় ও এতে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দূরীকরণেও নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করতে হবে । প্রশাসনিক ব্যয় ও প্রশাসনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কমাতে হবে। এ বিষয়ে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে একটি প্রস্তাব দিতে হবে। কোনো আইন পাসের জন্য পার্লামেন্টে উপস্থাপনের আগে ঋণদাতাদের কাছে অনুমতি নিতে হবে। এছাড়াও আরো কিছু শর্ত রয়েছে। যেগুলো মানতে হবে গ্রিসকে। তবেই তারা এ ঋণ পাবে।এসআইএস/পিআর
Advertisement