দেশজুড়ে

পাহাড়ে জমির নামজারিসহ খাজনা আদায় স্থগিতের নির্দেশ

তিন পার্বত্য জেলায় বিধিবহির্ভূতভাবে বন্দোবস্তকৃত জমির নামজারিসহ খাজনা/কর আদায় স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ।

Advertisement

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয়া লারমা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তিন পার্বত্য জেলার সার্কেল চিফ, জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়াম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং হেডম্যানদের এ নির্দেশ দেয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ঘ খণ্ডের ৪ নং অনুচ্ছেদের আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১ প্রণীত হয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিধানবলির সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ করার্থে ওই আইন ৬ অক্টোবর ২০১৬ সালে সংশোধন করা হয়।

এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ঘ খণ্ডের ২ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি এবং উপজাতি শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উপজাতি উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের পর সরকার এ চুক্তি অনুযায়ী আঞ্চলিক পরিষদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে শিগগিরই পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি জরিপ কাজ শুরু এবং যথাযত যাচাইয়ের মাধ্যমে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করবে। সেই সঙ্গে উপজাতি জনগণের ভূমি মালিকানা চূড়ান্ত করে তাদের ভূমি রেকর্ডভূক্ত ও ভূমি অধিকার নিশ্চিত করবে।

Advertisement

এছাড়া রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধ আইন), ১৯৯৮ এর ৬৪ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, পার্বত্য জেলার এলাকাধীন কোনো জায়গা জমি পরিষদের বন্দোবস্ত দেয়া যাবে না। সেই সঙ্গে ওই জেলার বাসিন্দা নয় এমন কাউকে জায়গা জমি হস্তান্তর করা যাবে না।

চিঠিতে আরও বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির খ খণ্ডের ৩ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত অ-উপজাতি স্থায়ী বাসিন্দা বলে যিনি উপজাতি নয় এবং যার পার্বত্য জেলার বৈধ জায়গা জমি আছে এবং যিনি পার্বত্য জেলায় সুনির্দিষ্ট ঠিকানায় বসবাস করে তাকে বুঝাবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ না করে অস্থায়ী অ-উপজাতি বাসিন্দাদের কাছে যেসব জায়গা জমি বন্দোবস্ত করা হয়েছে তা বিধিবহির্ভূত বিধায় বর্তমানে বিতর্কিত হয়ে আসছে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ না হওয়া পর্যন্ত ওই ধরনের বিধিবহির্ভূত ও বিতর্কিত জায়গা জমির নামজারি, কর, খাজনা আদায় স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সৈকত দাশ/এএম/আরআইপি

Advertisement