শিক্ষা

অসন্তুষ্ট হওয়ার মতো ফল হয়নি : গণশিক্ষামন্ত্রী

গত বছরের চেয়ে পাসের হার কমলেও পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলকে মোটামুটি উৎসাহব্যঞ্জক হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

Advertisement

এবারের ফলাফলে সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই, যদিও আমার প্রত্যাশা শতভাগ শিশু পাস করুক। আমাদের ছাত্ররা ফেল করবে কেন। তাদের ভালো করে পড়ান, আমরা তো শিক্ষকদের জন্য অনেক কিছু করছি। ফেল তো করার তো কথা নয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তো শতভাগ শিক্ষার্থীরা এক ক্লাস থেকে আরেক ক্লাসে যায়। আমাদের দেশে যেতে পারবে না কেন?’

তিনি বলেন, ‘অসন্তুষ্ট হওয়ার মতো কোনো ফল হয়নি, পঁচানব্বই পয়েন্ট সামথিং এটাকে মোটামুটি উৎসাহব্যঞ্জকই বলব। তবে ভালোর কোনো শেষ নেই। শেষ ধাপ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাব।’

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে শনিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে দুই সমাপনীর ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

Advertisement

এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ ও ইবতেদায়িতে ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় পাসের হার প্রাথমিকে কমেছে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ইবতেদায়িতে কমেছে ২ দশমিক ৯১ শতাংশ।

পাসের হার কমার কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুধু হিসাব দিয়েছি যা হয়েছে তার। এর (পাসের হার কমার) বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, সেটা গবেষণার বিষয়। পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা দিতে হলে আমাদের অ্যাসেসমেন্ট করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এবার কেন ফল কমল, এই ফলটা নিয়ে গবেষণা করে বের করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও এর উত্তর খুঁজবেন।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা ফলাফল প্রস্তুত করে সবেমাত্র ঘোষণা করলাম। ডেফিনেটলি প্রত্যেকটি বিষয় এরপর আমরা অ্যানালাইসিস করে দেখব। দেখব কেন পাসের হার গত বছরের চেয়ে কমল? এছাড়া সমাপনী পরীক্ষার বাইরেও আমরা একটা গবেষণা কাজ করে থাকি, তা হলো ন্যাশনাল স্কুল অ্যাসেসমেন্ট (এনএসএ)। প্রতি দুই বছর পরপর হয়, সেখানে প্রত্যেকটি ট্রেন্ড অ্যানালাইসিস করা হয়, কেন বাড়ছে কেন কমছে। এনএসএ’র ফলাফলটা আমার প্রকাশ করে থাকি।’

Advertisement

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফল ক্রমে খারাপ হচ্ছে জানতে চাইলে গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে যতটুকু সহায়তা দেয়া যায় সেটার ব্যাপারে সরকার আন্তরিক ও চেষ্টা করছে। আমাদের মূল হাতিয়ার হচ্ছে আমাদের শিক্ষকরা। শিক্ষকরা যদি নিবেদিত প্রাণ হন তবে আমরা মানসম্মত শিক্ষা পাব।’

শিক্ষকদের দক্ষ করতে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে জানিয়ে মোম্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এই জায়গাতে আরও অনেক কাজ করতে হবে।’

শুক্রবার অ্যাপে ফল পাওয়া গেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অ্যাপে ফলাফল পাওয়ার স্ক্রিনশট আছে- জানালে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে থাকতে পারে। স্ক্রিনশট বানাতেও পারেন আপনি, সেটা নিয়ে আমার কোনো কথা নেই।’

এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আসিফ-উজ-জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/বিএ/জেআইএম