রাজনীতি

খালেদা নির্বাচনে যাবেন কিন্তু আ.লীগ যাবে না : ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে তো যাবো, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যাবেন কিন্তু ওনারা (আওয়ামী লীগ) যাবেন না। কারণ ওনারা নিরপেক্ষ নির্বাচনে আসবেন না।’

Advertisement

তিনি বলেন, ২০১৮ সাল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাল। ২০১৮ সাল বিএনপির সাল, ২০১৮ সাল তারেক রহমানের সাল, ২০১৮ সাল এই দেশের গণমানুষের সাল, যারা যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে এনেছে। সুতরাং আমরা আছি, লড়াই করেছি লড়াই করে যাচ্ছি লড়াই করব। ২০১৮ সালে আমরা অবশ্যই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আশাবাদী হয়ে উঠছি অনেক কারণে। গতকাল বাংলাদেশের একজন শ্রদ্ধেয় নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এই ভয়াবহ সরকারকে সরাতে হলে জাতীয় ঐক্য দরকার। আমার খুব ভালো লেগেছে তিনি এতদিনে কথাটা উপলদ্ধি করতে পেরেছেন। আমরা তো অনেক আগে থেকেই বলে আসছি এই ভয়াবহ সরকারকে সরাতে না পারলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না।

Advertisement

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘কথা খুব স্পষ্ট নির্বাচন তো দিতেই হবে এবং সেই নির্বাচন হতে হবে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়। সব দলের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে এবং অবশ্যই সেটা সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। আর সেই নির্বাচনে অবশ্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।

ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার সম্পর্কে আর কি বলব? কোন খারাপ কাজটা তারা করে নাই? আমরা গণতন্ত্র বলতে যা বুঝি গর্ভমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল ফর দ্যা পিপল। আর এখন কি হচ্ছে গর্ভমেন্ট ফর অন পার্টি, গর্ভমেন্ট ফর অন পারসন। আওয়ামী লীগ শুধু মাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে আজকে একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেছে। এটাকে ঠিকিয়ে রাখার জন্য তাদের লজ্জা সরম বলতে কিছু নাই। বেহায়ার মতো বলছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান কোনো সংবিধান? এ সংবিধান কোনটা? এমন একট সংবিধান আপনারা সংশোধন করেছেন, যে পার্লামেন্টে করেছেন সেটা জনগণের নয়।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে। পরিকল্পিতভাবে সংসদ ধ্বংস করেছে পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনকে দলীয়করণ করে অযোগ্য অথর্ব প্রশাসন তৈরি করেছে। যারা ঘুষ আর দুর্নীতি ছাড়া কিছু বোঝে না। প্রধান বিচারপতিকে বন্দুকের নলের মুখে দেশ থেকে বের করে দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এবং সহ-দফতর সম্পাদক এস কে সাদীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন-কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের সহ-সভাপতি এম এ তাহের, নাজিম উদ্দীন মাস্টার প্রমুখ।

Advertisement

এমএম/জেএইচ/আরআইপি