জাতীয়

লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কারের চিঠি সিইসির কাছে

সাবেক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বহিষ্কারের পর সংসদ সদস্য পদ নিয়ে জটিলতার অবসানের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সোমবার বিকেলে এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব হেলাল চৌধুরী। বিকেল তিনটায় বিশেষ বাহক মারফত এ চিঠি নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক সাংবাদিকদের বলেন, সার্বিক বিষয় পর্যালোচনার জন্য আমরা বৈঠকে বসব। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও আগের নজিরগুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ।সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে বহিষ্কারের প্রায় আট মাস পর গত ৫ জুলাই বিষয়টি স্পিকার  ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। প্রসঙ্গত, গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে হজ ও তাবলিগ জামায়াত নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন তখনকার টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে প্রায় দুই ডজন মামলা হয়। বিভিন্ন ইসলামপন্থি দলগুলোর আন্দোলনের হুমকি ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সমালোচনার মুখে সব কিছু হারাতে হয় তাকে। ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর রাতে ভারত হয়ে দেশে ফেরার পরদিন তিনি আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর চলতি বছরের ২৯ জুন তিনি মুক্তি পান।     জানা যায়, এর আগে চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে অষ্টম জাতীয় সংসদে বিএনপির  নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবু হেনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তার সংসদ সদস্য থাকবে কি না- বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তখন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আবু হেনার সদস্য পদ রাখার সিদ্ধান্ত দেন তৎকালীন স্পিকার মুহম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার। একইভাবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের আমলে নবম জাতীয় সংসদেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে নির্বাচিত এইচ এম গোলাম রেজাকে তার দল জাতীয় পার্টি বহিষ্কার করলেও তার সংসদ সদস্য পদ বহাল থাকে।এ দুটি বিষয়ে জানতে চাইলে শিরীন শারমিন বলেন, প্রত্যেক্যের সারকামটেন্সেস (পারিশ্বাপার্শিকতা) ভিন্ন ছিল। সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে সংবিধানের ৭০ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনীত হয়ে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি যদি ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে দলের বিপক্ষে ভোট দেন তাহলে সংসদে তার আসন শূন্য হবে। ওই অনুচ্ছেদে দল থেকে বহিষ্কৃত হলে সদস্য পদের কী হবে, সে বিষয়ে কিছু বলা নেই; যা লতিফ সিদ্দিকীর বেলায় প্রযোজ্য।এইচএস/এসকেডি/আরআইপি

Advertisement