এমপিওভুক্তির দাবি আদায়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, দাবি আদায়ে চারদিন ধরে আন্দোলন করেও সংশ্লিষ্টদের কোনো সাড়া না পেয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে। শুধু তাই নয়, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই বিতরণেও অংশ নেবেন না তারা।
Advertisement
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে সারাদেশ থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা এসে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে ২৬ ডিসেম্বর থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
শুক্রবারও সকাল থেকে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নে বিক্ষোভ-স্লোগান দিতে দেখা যায় নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহামুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘আমরা দাবি আদায়ে অনড়। আমাদের দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য চারদিন ধরে আন্দোলন করছি। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাব।’
Advertisement
আব্দুস সামাদ নামে এক শিক্ষক বলেন, বহু দিন ধরে চাকরি করছি। কিন্তু বিনাবেতনে। আমারও ছেলে-মেয়ে স্কুল-কলেজে পড়ছে। বিনাবেতনে তো ছেলে মেয়েদের পড়াই না। পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। সরকারের কাছে আকুল আবেদন আমাদের বেতনভুক্ত করা হোক।
আন্দোলনে অংশ নেয়া শিউলি বেগম নামে ঠাকুরগাঁওয়ের এক শিক্ষিকা বলেন, বিনাবেতনে আর কত দিন? শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কি বিনাবেতনে চাকরি করেন। তাদের ছেলেমেয়েদের যারা পড়াশুনা করায় তাদের কি বেতন দিতে হয় না? আমাদের কেন এই নিদারুন কষ্টে রাখা হয়েছে। এমপিওভুক্ত করতে সরকারের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বিনয় ভূষণ রায় জাগো নিউজকে বলেন, আমরা নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাস্তবায়নের জন্য নীতিমালা তৈরির অনুরোধ করেছি। একটা নীতিমালা করতে ক’বছর লাগতে পারে? কিন্তু শিক্ষামন্ত্রণালয় ১০ বছরেও তা করেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আর কষ্ট সইবো না। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা ছাড়বো না। আমরণ অনশনে যাব। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আমরা বই বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেব না।
Advertisement
জেইউ/এমবিআর/এনএফ/আইআই