দেশজুড়ে

কালীগঞ্জে ব্যবসায়ী সাইকুল হত্যায় গ্রেফতার ২

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ব্যবসায়ী সাইকুল ইসলাম (৪৫) হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মো. জালাল উদ্দিন জালু (৫২) ও আসামি মো. আলামিনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

নিহত সাইকুল কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বড়নগর গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে তাঁতের কাপরের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অন্যদিকে গ্রেফতার জালু বড়নগর গ্রামের মৃত তাইজুদ্দিনের ছেলে ও আলামিন একই গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ডিসেম্বরের ৭ তারিখ রাতে হাত-পা বাধা আহত অবস্থায় ব্যবসায়ী সাইকুলকে বড়নগর রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন (শুত্রবার) রাতে তার মৃত্যু হয়। পরে ৯ ডিসেম্বর নিহতের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৩৫) বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা (নং ৫) দায়ের করেন। সেই মামলায় পুলিশ এজাহার নামীয় ৬নং আসামি চৌড়া গ্রামের মৃত ছদুরউদ্দিনের ছেলে মো. জুলহাস মিয়া (৫৫) ও সন্দেহভাজন হিসেবে বড়নগর গ্রামের জনি নামের একজনকে আটক করে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করে। পরে আদালত তাদের গাজীপুর জেল হাজতে পাঠায়।

Advertisement

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার এসআই আলাল উদ্দিন জানান, ব্যবসায়ী সাইকুল হত্যার এজাহার নামীয় আসামি আলামিনকে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌর এলাকার বাইপাস থেকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে ওর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে জালাল উদ্দিন উরফে জালুকে বড়নগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

আলামিনের বরাত দিয়ে ওই এসআই আরও জানান, ব্যবসায়ী সাইকুল হত্যার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে আলামিন জালুকে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে স্বীকার করেছে করেছে। সাইকুলকে হত্যার ব্যাপারে একাধিকবার জালুর অফিসে পরিকল্পনাও হয়েছে বলে স্বীকার করেছে আলামিন।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ সার্কেল) পংকজ দত্ত জানান, আটক দুইজনের মধ্যে একজন হচ্ছেন মামলার এজাহার নামীয় আসামি, অন্যজনকে ওই মামলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

আব্দুর রহমান আরমান/আরএআর/আইআই

Advertisement