বিনোদন

আদম পাচার : আজীবন নিষিদ্ধ হচ্ছেন চিত্রপরিচালক অনন্য মামুন

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির এক জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর সদস্যপদ বাতিল করা হয় চলচ্চিত্র পরিচালক অনন্য মামুনের। তখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল- যৌথ-প্রযোজনার নামে প্রতারণা করা এবং জাল সার্টিফিকেট দিয়ে পরিচালক সমিতির সদস্যপদ নেওয়া। এরপর নানা অঙ্গীরনামা দিয়ে সেই সদস্যপদ ফিরে পান মামুন।

Advertisement

মাত্র দুই বছরের মাথায় আবারও সমিতির সদস্যপদ হারানোর হুমকির মুখে পড়লেন এই তরুণ নির্মাতার। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে মালয়েশিয়ায় আদম পাচার করার অপরাধে বর্তমানে দেশটির কারাগারে রয়েছেন মামুন। তার এই অপরাধ দেশবাসীর কাছে দেশীয় চলচ্চিত্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এজন্যই তার সদস্যপদ প্রাথমিকভাবে স্থগিত করেছে পরিচালক সমিতি।

আজ, ২৮ ডিসেম্বর পরিচালক সমিতির এক বৈঠকে অনন্য মামুনের সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনন্য মামুন আমাদের লজ্জিত করেছে দেশ ও বিদেশের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে। সবার কাছে সিনেমার মানুষদের ছোট করেছে সে। তার বিরুদ্ধে আদম পাচারের যে অভিযোগ সেটার বিপরীতে এটা আমাদের প্রথম পদক্ষেপ। আমরা পুরো বিষয়টার সত্যতা জেনে শিগগিরই কঠোর সিদ্ধান্তে যাবো। অভিযোগের সত্যতা পেলে তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হবে।’

এই সভাপতি আরও বলেন, ‘এর আগেও একবার তার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছিল। সে অনেক অঙ্গীরনামা দিয়ে সদস্যপদ ফিরে পেয়েছিল। আমরাও ভেবেছি সে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এবারে সে আন্তর্জাতিকভাবে অপরাধী, তাকে ক্ষমা করা চলে না। শুধু তার সদস্যপদ বাতিলই নয়, আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নেবো আমরা। তবে তার আগে সত্যতা খতিয়ে দেখার জন্য কয়েকদিন সময় নিচ্ছি। মালয়েশিয়ান দূতাবাসে প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য চিঠিও পাঠিয়েছি।’ এদিকে আদম পাচারের অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার থাকা অনন্য মামুনের সদস্যপদ আপাতত স্থগিোদেশ আজ (বৃহস্পতিবার) থেকেই কার্যকর হয়েছে। যার ফলে তিনি পরিচালক সমিতি থেকে কোনও ধরনের সুযোগসুবিধা পাবেন না।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় রাত ১২টায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের একটি হোটেল থেকে অনন্য মামুনকে আটক করে সেখানকার গোয়েন্দা পুলিশ। বর্তমানে অনন্য মামুন দেশটির পুলিশি হেফাজতেই রয়েছেন।

এলএ