কক্সবাজারের মহেশখালীতে উড়ন্ত অবস্থায় সংঘর্ষে বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুটির উদ্ধার তৎপরতা চলছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দমকল বাহিনী, আনসার, পুলিশ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন।
Advertisement
এদিকে বিমান বিধ্বস্ত স্থল পরিদর্শন করেছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার। দুপুর ২টার দিকে বিমান বাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টারে তিনি মহেশখালী এসে আকাশ থেকেই বিমান বিধ্বস্ত স্থল দেখেন। ঘটনাস্থলে রয়েছেন বিমান বাহিনীর কক্সবাজার ঘাটির অধিনায়ক এম ইউসুফ আলী। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল কালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউএনও জানান, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে। বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিমান বাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান মহড়াকালে মহেশখালী এলাকার আকাশে সংঘর্ষে বিধ্বস্ত হয়। বিমান দুটির বিধ্বস্তাংশ মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা পালপাড়া ও উপজেলার ছোট মহেশখালীর মাইজপাড়া এলাকায় পড়ে আগুনে বেশকিছু অংশ ভস্মীভূত হয়।
Advertisement
পুটিবিলা অংশে পড়া বিমানের বিধ্বস্তাংশের আঘাতে স্থানীয় আবদুস সাত্তারের বাড়ির চালের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমানের একটি খণ্ডাংশ তার বাড়ির ভেতরে পড়ে আঘাত পেয়ে আঁখি (১৫) ও ফয়সাল (১২) নামের দু’শিশু আহত হয়েছে। তারা আব্দুস সাত্তারের সন্তান।
দুর্ঘটনার এক ঘণ্টার মাথায় দু’বিমানে থাকা চার পাইলট গ্রুপ ক্যাপ্টেন শরীফ, স্কয়ার্ডন লিডার মনির, উইং কমান্ডার আজিম ও উইং কমান্ডার রাজীবকে দ্বীপের পৃথক স্থান থেকে অক্ষতাবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
বিমান বাহিনী সূত্র জানায়, ওয়াইএকে-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান দু’টি সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম জহিরুল হক ঘাটি থেকে উড্ডয়ন করে। পৌনে ৭টার দিকে বিধ্বস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ আগ থেকে বিমান দু’টি রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/পিআর
Advertisement