এমপিও দাবিতে তৃতীয় দিনেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দাবি আদায়ে আরও কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবেন বলেও জানিয়েছেন আন্দোলকারীরা।
Advertisement
গত তিন দিন ধরে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে তাদের এ আন্দোলন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনেও তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
এমপিওভুক্তি, সহকারী শিক্ষকদের মতো বেতন, বাসা ভাড়া ও চিকিৎসা ব্যয় পাওয়াসহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে নিয়ে সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এতে অংশ নিয়েছেন। সকাল থেকেই তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বিনয় রায় বলেন, 'দেশের ৯৮ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি ব্যবস্থাপনা নির্ভর। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও কারিগরি মাদ্রাসা রয়েছে। বিভিন্ন স্তরে পাঁচ-ছয় হাজারের বেশি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় আছে, যা এই স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক-চতুর্থাংশ।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত ৮০ হাজারেরও অধিক শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে। প্রায় ১৫ বছর ধরে তারা মানবেতর জীবনযাপন করে শিক্ষাকতা করে আসছেন। আমাদের ক্যাটাগরি পূরণ হলেও এমপিও প্রদানে শুরু আশ্বাস ছাড়া আর কিছু দেয়া হচ্ছে না।’
ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘দাবি আদায় ছাড়া আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আমাদের দাবি আদায়ে সারাদেশ থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ন্যায্য দাবিতে গত তিনদিন ধরে শিক্ষক-কর্মচারীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশার বাণী দেয়া হচ্ছে না। দাবি আদায়ে আমরণ অনশন সহ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন হবেও হুশিয়ারী দেন তিনি।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আকরাম খান প্রমুখ।
Advertisement
এমএইচএম/এমবিআর/এনএফ/পিআর