চাঁপাইনবাবগঞ্জের মার্কেটগুলোতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ক্রেতাদের সমাগমে মার্কেটগুলো এখন সরগরম। প্রথম ২ সপ্তাহে মার্কেটগুলোতে তেমন ভিড় না থাকলেও ধীরে ধীরে জমে উঠছে ঈদের বাজার। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রথম দিকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতা সমাগম কম থাকে। কিন্তু ঈদ যত এগিয়ে আসছে ক্রেতা সমাগম তত বাড়ছে। প্রথম দিকে বেচা-কেনা তেমন না হলেও কয়েক দিন থেকে বেচা-কেনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও গত বছরের চেয়ে এবার জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা ততটা সন্তুষ্ট নয়। দামের কারণে চাহিদা মাফিক পোশাক কিনতে পারছেন না অধিকাংশ মানুষ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ক্লাব সুপার মার্কেট, মডার্ণ মার্কেট, সেন্টু মার্কেট, সাটু হল মার্কেট, ডিসি মার্কেট, পুরাতন বাজারসহ অন্যান্য মার্কেটগুলোয় ঈদের পোশাকসহ অন্যান্য পন্য কিনতে আসা ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়। সোমবার মার্কেটগুলো সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এবার বাজারে শিশু ও তরুণীদের পোশাকের মধ্যে ফ্রক, জিপসি, লেহেঙ্গা, থ্রিপিস, ফ্লোরটাচ ও সাবারিয়া জামা বেশ জনপ্রিয়। তবে এ বছর সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে, ভারতীয় ধারাবাহিকের বাহারি পোশাক কিরণমালা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফ্লোরটাচ। ছোটদের ফ্রক, জিপসি, লেহেঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায় এবং বড়দের পোশাক থ্রিপিস, ফ্লোরটাচ ও সাবারিয়া বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকায়। শহরের ক্লাব সুপার মার্কেটের একজন তৈরি পোশাক বিক্রেতা আবুল কালাম আজাদ রানা জানান, ভারতীয় টেলিভিশনে বিভিন্ন সিরিয়াল দেখে এসব পোশাক আমাদের দেশের শিশুদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দোকান মালিকরা জানান, এ বছর দোতারি সিল্ক, সিল্ক জামদানি, সফট সিল্কের ওপর মিনা, বেনারসি, কাতান, স্বর্ণ কাতান, টাঙ্গাঈলের সুতি কাতান বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে ভারতীয় শাড়ি চেন্নাই কাতান ও কিরণমালা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্লাব সুপার মার্কেটে ঈদের বাজার করতে আসা একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক আনোয়ারা খাতুন জানান, গত বছরের চেয়ে এবার পোশাকের দাম অনেক বেশি। ঈচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত মূল্যের কারণে চাহিদা অনুযায়ী বাজার না করেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, শাড়ি ও বাচ্চাদের পোশাকের মূল্য মধ্য আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। শহরের মডার্ণ মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মো. মাসুদ জানান, গত বারের চেয়ে এ বছর তৈরি পোশাকের মূল্য কিছুটা বেশি। তাই চাহিদা থাকার পরও অনেক ক্রেতা চাহিদা মাফিক পন্য কিনতে পারছেন না। তবে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রোজার শুরুতে বেচা-কেনা কম হলেও এখন বেচা-কেনা বেশ জমে উঠেছে। এসএস/এমএস
Advertisement