বিদেশ থেকে ফেরার পর বিএনপির নির্বাহী কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কায়সার কামালকে গ্রেফতার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, আগামী এক মাসের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসর্পণ করে জামিন নিতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার না করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান, তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. গোলাম আকতার জাকির ও ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান।
গত ২০ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে বাসায় ফেরার পথে হাইকোর্টের মাজারের গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় নাশকতার অভিযোগে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের বিরুদ্ধে গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর রমনা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
Advertisement
কিন্তু ঘটনার সময় তিনি দেশে না থাকার পরও তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় ২৬ ডিসেম্বর রিট করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত বুধবার এ আদেশ দেন।
পরে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল অসুস্থ বাবার উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৬ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডে গিয়েছেন। থাইল্যান্ডে অবস্থানের সময় তার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়। এ মামলার কারণে তার বাংলাদেশে আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আদালতে আমরা রিট দায়ের করি। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে গ্রেফতার না করতে নির্দেশনা দিয়ে রুল জারি করেছেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রমনা থানার ওসি, বিমানবন্দর থানার ওসি, ইমেগ্রেশন পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের ওই রুলের জবা দিতে বলা হয়েছে।
এফএইচ/জেডএ/জেআইএম
Advertisement