জাতীয়

চোরাচালান রোধে কোস্ট গার্ডে যুক্ত হচ্ছে দুটি টাগ বোট

উপকূলীয় অঞ্চলে চোরাচালান, ডাকাতি, মাদক ও মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য দুটি টাগ বোট ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি টাকা। উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে বোট দুটি সরবরাহ করার দায়িত্ব পেয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড।

Advertisement

আগামীকাল বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিতব্য সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে অপরাধ দমনে অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে। এ বোট সংগ্রহের মাধ্যমে সাগরে ও উপকূলে দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় জলদস্যুতা, অবৈধ অনুপ্রবেশ বা বহিরাগমন, চোরাচালান এবং সাগর দূষণ প্রতিরোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়া কোস্ট গার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় কর্মরত জনগণের নিরাপত্তা প্রদান, মৎস্যসম্পদ রক্ষা, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম এবং খোঁজ ও উদ্ধার তৎপরতা অভিযানে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তাই এ বোট দুটি ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

Advertisement

জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত ওই প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনীর অপাররেশনাল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে দুটি ইশোর প্যাটেল ভেসেল (আইপিভি), দুটি টাগ বোট, ছয়টি হাইস্পিড বোট (বড়), দুটি হাইস্পিড বোট (ডাইভিং), দুটি হাইস্পিড বোট (ফেরি) এবং প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অফিস সামগ্রী ক্রয় সম্বলিত ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য বিভিন্ন প্রকার জলযান নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ১২ জুলাই একনেক সভায় অনুমোদিত হয় এবং একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটির প্রশাসনিক অনুমোদন জ্ঞাপন করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় টাগ বোট দুটি ক্রয় করা হচ্ছে। এ ক্রয়ের জন্য ব্যয়িত অর্থ সরকারের রাজস্ব থেকে পরিশোধ করা হবে।

এমইউএইচ/জেডএ/বিএ