দেশজুড়ে

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন বৃহস্পতিবার, ব্যাপক প্রস্তুতি

বৃহস্পতিবার শেরপুর সদর উপজেলার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার মোট ৩ লাখ ১৬ হাজার ৭শ’ ৫৫ জন ভোটার ১৪০ টি ভোট কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোট দিবেন।সম্প্রতিক সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এক অপরের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার এবং সমর্থকদের মারপিট ও হুমকি-ধমকির বিষয় নিয়ে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন হওয়ায় ভোটারদের মাঝে যেমন প্রভাব পড়েছে। তেমনি জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও রণ প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ট করার জন্য।বুধবার সকালে শহরের পৌর পার্ক মাঠে শেরপুরের পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম নির্বাচনে নিয়োজিত পুলিশ, আমর্স পুলিশ ও ব্যাটেলিয়ান আনছারদের নিয়ে এক সমাবেশ করেন। এ সভায় পুলিশ সুপার যে কোন মূল্যে নির্বাচনে পেশী শক্তিকে প্রতিহত করতে অঙ্গিকার করে উপস্থিত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল সদস্যকে নির্দেশনা দেন। এদিকে দুপুরে সদর উপজেলা কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট সকল ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর সদস্যরা ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সসহ ভোট গ্রহনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি গ্রহন করে স্ব স্ব কেন্দ্রে চলে যান।রিটানিং অফিসার সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে সর্বাধিক ১৬৮০ জন আনছার, ১৩০০ পুলিশসহ ২ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন ব্যাটেলিয়ান আনছার, ২ প্লাটুন র‌্যাব এবং ২ প্লাটুন সেনা সদস্য নিয়োজতি থাকবে। সেইসাথে পুলিশের ৩৮ টি মোবাইল ফোর্স, ৯ টি স্টাইকিং ফোর্স, ১৩ জন ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি করে ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করবে। বিশেষ পরিস্থিতির জন্য আরো ১০০ পুলিশ সদস্য রিজার্ভে থাকবেন।এবারের নির্বাচনে চেয়ারমান পদে ৫ জন প্রার্থীর প্রতিক থাকলেও ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী সরে দাড়িয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়রম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে।

Advertisement