সহনশীল মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার পরামর্শ দেননি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। কিছু গণমাধ্যমে মন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে প্রকাশ করা হয়েছে দাবি করে তার ব্যাখ্যা পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Advertisement
এ ছাড়াও এ বিষয়টি তুলে ধরতে বুধবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার পাঠানো নিন্দা বার্তায় বলা হয়েছে, গত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘খালি অফিসাররা চোর না’, ‘সহনশীল হয়ে ঘুষ খাবেন’ এবং ’সহনশীল মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার পরামর্শ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে প্রকাশিত সংবাদে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের (ডিআইএ) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ল্যাপটপ ও প্রশিক্ষণ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
Advertisement
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ অধিদফতরের অতীতের/আট বছর আগের উদাহরণ দিতে গিয়ে ডিআইএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে পিয়ার ইনস্পেকশন ও ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা চালুর ফলে এ অবস্থার অনেক পরিবর্তন ও উন্নতি হয়েছে।
ডিআইএ’র কর্মকর্তাদের কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি ডিআইএ’র একজন কর্মকর্তাকে দুর্নীতির প্রমাণসহ দুদকের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মন্ত্রী ঘুষ-দুর্নীতি বিষয়ে ডিআইএসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি স্মরণ করিয়ে দেন।
কিন্তু প্রকাশিত সংবাদগুলোতে ডিআইএ’র অতীতবিষয়ক বক্তব্য বা তুলনাকে বর্তমানের কথা ধরে নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। যা দুঃখজনক, বিভ্রান্তিকর ও শিক্ষামন্ত্রীর মূল বক্তব্যের বিপরীত এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বর্তমান নীতির পরিপন্থি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃতি করায় জনমনে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ কারণে বিষয়টি পরিষ্কার করতে কাল দুপুর ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরবেন।
Advertisement
এমএইচএম/এনএফ/আরআইপি