সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে চলতি সপ্তাহে আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সিজার। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে জাগো নিউজকে তিনি এ তথ্য জানান।
Advertisement
প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে বসেন সহকারী শিক্ষকরা। দাবি যৌক্তিক হলে আলোচনার মাধ্যমে তা পূরণে পদক্ষেপ নেয়া হবে- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর এমন আশ্বাসে অনশনের তৃতীয় দিনে কর্মসূচি স্থগিত করেন সহকারী শিক্ষকরা।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের বলেছি আন্দোলন বন্ধ রেখে আলোচনায় বসতে। এ সপ্তাহের যেকোনো একটা দিন থেকে আলাপ-আলোচনা শুরু হবে।
‘তারা একটা গ্যাপের কথা বলছেন, সেই গ্যাপটা থাকার কথা নয়। গ্যাপ যদি থাকে, তা দূর করা সম্ভব কিনা- সেটা আলোচনা করেই ঠিক করা হবে। আমরা ডিজিকে (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর) আলোচনা শুরুর জন্য বলেছি।’
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাইলেই তো কিছু করতে পারব না। শিক্ষকদের এক গ্রেড উপরে উঠিয়ে দিতে পারব না। অর্থ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আছে। এ দুটো মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের আমরা ভবিষ্যতে বলতে পারব চেষ্টা করে ওই জায়গাটায় নিয়ে গেছি। দাবির মধ্যে যেটুকু রিজনেবল সরকার নিশ্চয়ই সেটুকু করবে। শিক্ষকদের বলেছি আলোচনার জন্য ৫-৭ সদস্যের প্রতিনিধি ঠিক করতে। এরপর জনপ্রশাসন ও অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো শিক্ষক সংগঠনকে আমরা চিঠি দেইনি। আমরা তাদের শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে বলেছি।
সহকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এ বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।
Advertisement
এছাড়া উন্নীত ধাপে প্রধান শিক্ষকরা যখন ৫৩ হাজার ৬০ টাকা স্কেলে বেতন পাবেন, তখন সহকারী প্রধান শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকদের প্রায় অর্ধেক ২৭ হাজার ৩০০ টাকা পাবেন বলেও জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
আরএমএম/এএইচ/এমএস