জাতীয়

দ্বিধাবিভক্ত প্রাথমিক শিক্ষকরা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষকদের সোমবার সন্ধ্যায় জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

Advertisement

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, দাবি যৌক্তিক হলে সর্বোচ্চ মহলে আলোচনা কর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর উপস্থিত আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলতে থাকেন মানি না মানবো না। এ সময় শিক্ষকদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা চলে। অনশন চলছে চলবে বলে স্লোগান দেয়া হচ্ছে।

শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সদস্য শাহীনুর আক্তার শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন, তারপরও অল্প কিছু শিক্ষক তা মানছেন।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলেন, মন্ত্রীকে এখানে দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিতে হবে। তা না হলে আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। আন্দোলন চালিয়ে যাব।

Advertisement

অনশন স্থগিত করার ঘোষণা করেন শিক্ষকদের পক্ষ থেকে নাসরিন সুলতানা। তবে শিক্ষকদের মধ্যে এখনও দ্বিধাবিভক্ত রয়েছে। মন্ত্রী অনশন ভাঙানোর পর অনেক শিক্ষক স্থান ত্যাগ করেছেন। তবে অল্প কিছু সংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন। তারা বলছেন, তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

সোমবার সন্ধ্যায় শিক্ষকদের অনশন ভাঙানোর সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং প্রাথমিক অধিদফতরের মহাপরিচালক।

এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে চার শর্তে আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। শর্তগুলো হলো: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেড স্থগিত, নতুনভাবে একসঙ্গে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা হবে, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের গ্রেডের মধ্যে যে বৈষম্য ছিল তা দূরীকরণ করা হবে, প্রাথমিকের শিক্ষক প্রতিনিধি দলের একটি কমিটি দফতরে দফতরে ( প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ও প্রাথমিক অধিদফতরের মহাপরিচালক) গিয়ে শিক্ষকদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমি তাদের আস্থার প্রতিদান দিব। তিনি বলেন, এই সরকারের মেয়াদকালীন সময়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেডের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

Advertisement

এমএএস/এমএইচএম/জেএইচ/এসএম