প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষকরা চার শর্তে আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা।
Advertisement
প্রাথমিকের শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সদ্স্য তপন কুমার মণ্ডল জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যেসব শর্তে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। তা হলো:
১. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেড স্থগিত।
২. নতুনভাবে একসঙ্গে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা হবে।
Advertisement
৩. প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের গ্রেডের মধ্যে যে বৈষম্য ছিল তা দূরীকরণ করা হবে।
৪. প্রাথমিকের শিক্ষক প্রতিনিধি দলের একটি কমিটি দফতরে দফতরে (প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ও প্রাথমিক অধিদফতরের মহাপরিচালক) গিয়ে শিক্ষকদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবেন।
সোমবার বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের মিন্টো রোডের বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মন্ত্রী সহকারী শিক্ষকদের প্রতিনিধি দলকে এই আশ্বাস দেন।
বৈঠক শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমি তাদের আস্থার প্রতিদান দিব।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, এই সরকারের মেয়াদকালীন সময়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেডে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
গত ২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের উদ্যোগে এ অনশন কর্মসূচি চলছে। মহাজোটের অধীনে সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠনের হাজার হাজার শিক্ষকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে যোগ দিয়েছেন অনশন কর্মসূচিতে।
তাদের দাবি, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এ বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।
এমএইচএম/জেএইচ/আইআই