জাতীয়

ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের মঞ্চে উঠতে দিলেন না শিক্ষকরা

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচিতে কমিউনিস্ট পার্টির নেতার বক্তব্য দেয়ার সময় মঞ্চে উঠতে পারলেন না চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনের নেতারা।

Advertisement

প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে বেতন নির্ধারণের এক দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা শনিবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা জানাতে শহীদ মিনারে আসেন। ওই সময় বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

প্রতিনিধি দলটি বক্তব্য দেয়ার স্থানের কাছাকাছি এলে শিক্ষক নেতারা তাদের আটকে দেন। এই সময় হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ‘আমরা চরমোনাই পীরের নির্দেশে আপনাদের দাবির প্রতি একাত্মতা জানাতে এসেছি। আমরা মঞ্চে গিয়ে শিক্ষকদের সালাম জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানাবো।’

Advertisement

কয়েকজন শিক্ষক নেতা বলেন, আপনাদের যা বলার আমাদের বলুন আমরা মাইকে জানিয়ে দেব।

ওই সময় হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ‘আমি দেখছি কমিউনিস্ট পার্টির রুহিন হোসেন প্রিন্স ভাই বক্তব্য দিচ্ছেন। অন্যরা বক্তব্য দিয়েছেন বলে জেনেছি। আমরা দিলে ক্ষতি কী? আপনারা বিমাতা সুলভ আচরণ করছেন। কাউকে বক্তব্য দিতে দিচ্ছেন, আবার কাউকে দিচ্ছেন না। আমরা তো আপনাদের পক্ষে কথা বলতে এসেছি।’

কিন্তু কোনো কথাই শুনছিলেন না শিক্ষকরা। একজন শিক্ষক বলেন, ‘আপনারা মঞ্চে গেলে আমাদের ক্ষতি হয়ে যাবে। আপনারা যেতে পারবেন না।’ এ সময় শিক্ষকরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দেয়াল তৈরি করেন যাতে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা আর এগোতে না পারেন।

এ পর্যায়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মী ও শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক বাগবিতণ্ডা হয়। তবে মাইকে ইসলামী আন্দোলনের শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশের বিষয়টি ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।

Advertisement

পরে দেড়টার দিকে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

কমিউনিস্ট পার্টিসহ অন্যান্য দলের নেতাদের বক্তব্য দিতে দেয়া হলেও ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের কেন দেয়া হলো না- জানতে চাইলে জাতীয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহীনুর আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘বলা হচ্ছে এই আন্দোলনে জামায়াত ঢুকে পড়েছে। এজন্য আমরা সতর্কতা অবলম্বন করছি। আমাদের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে ইতোমধ্যে কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তি বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে আমরা আর কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকে মঞ্চে উঠতে ও বক্তব্য দিতে দেব না।’

মহাজোটের অধীনে ১০টি সংগঠনের সহকারী শিক্ষকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চলমান এই আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।

আরএমএম/জেএ/এনএফ/জেআইএম