‘শুভ বড়দিন’ উপলক্ষে বর্ণিল আলোতে সেজেছে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর। দিনটি উপলক্ষে খ্রিস্টান পরিবারে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ বিশেষ খাবার।
Advertisement
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’। এ দিনে যিশু খ্রিস্ট বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে এইদিন যিশুর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে।
অন্যান্য দেশের মতো মালয়েশিয়ায় খ্রিস্টান ধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, যিশুর জন্ম হয়েছিল গোয়ালঘরে। সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে বড়দিনে গির্জাগুলোতে প্রতীকী গোয়ালঘর তৈরি করা হয়েছে। অনেকে তাদের বাড়িতেও তৈরি করেছেন গোয়ালঘর।
দিনটি উপলক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী দাতুকে সেরি নাজিবতুন রাজাক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আধুনিক মালয়েশিয়ার রোপকার তুন ড. মাহাথির মোহাম্মদও।
Advertisement
নাজিব রাজাক তার শুভেচ্ছা বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ মালয়েশিয়া। আবহমানকাল ধরে এ দেশে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। বিদ্যমান সম্প্রীতির এই মহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।
দেশটির প্রতিটি প্রদেশে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর বসবে আজ। রাজধানীর প্রতিটি গির্জা ও এর আশপাশ সাজানো হয়েছে রঙিন বাতিতে। জরি দিয়ে গির্জার ভেতরের অংশ সুসজ্জিত করা হয়েছে। ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।
বড় দিন উপলক্ষে শপিংমলের দোকানগুলোতে বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছরের কার্ড, নানা রঙের মোমবাতি, সান্তা ক্লজের টুপি, জপমালা, ক্রিসমাস ট্রি, যিশু-মরিয়ম-জোসেফের মূর্তিসহ বিভিন্ন জিনিস বিক্রি হচ্ছে। চার্চগুলোতে প্রার্থনায় যোগ দিয়েছেন ধর্মানুসারীরা। বড়দিন উপলক্ষে মালয়েশিয়ার খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও মহাসচিব এক যুক্ত বিবৃতিতে মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের সকল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মহ: শহীদুল ইসলাম এক বার্তায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
Advertisement
আরএস/জেআইএম