শীত মানেই নানারকম দাওয়াত। কারণ বছরের এই সময়ে বিয়ে থেকে শুরু করে নানারকম পার্টি থাকেই। সেসঙ্গে থাকে নানারকম মজার খাবারের আয়োজন। হঠাৎ ভারি সব খাবার খাওয়ার কারণে দেখা দিতে পারে পেটের সমস্যা। বদহজম, পেট খারাপ- হাজার রকমের বিপত্তি। কিন্তু দাওয়াতে গিয়ে তো আর না খেয়ে চলে আসা যায় না!
Advertisement
আরও পড়ুন : অকারণে ঘামছেন! সাবধান হোন এখনই
ব্রেকফাস্টে পটাশিয়াম-যুক্ত খাবার খান। এর ফলে সারাদিনই আপনার পাচনতন্ত্র ভালোভাবে কাজ করবে। কলা বা বাদামজাতীয় খাবার অবশ্যই রাখুন ব্রেকফাস্টের টেবিলে।
দিনে নিয়ম করে অবশ্যই দুই থেকে তিন লিটার পানি খান।
Advertisement
দিনে দুই থেকে তিন কাপ হার্বাল চা শরীরের সামগ্রিক উপকারে লাগে। যেমন গ্রিন টি, পেপারমিন্ট টি। কারণ, এতে ক্যাফিন থাকে না। যার ফলে, শরীর ডিহাইড্রেট হয় না। পেটে গ্যাস হওয়া থেকে বেরতেও সাহায্য করে হার্বাল টি।
সারাদিনে অবশ্যই নানা ধরনের বাদাম খান। যেমন আমন্ড, আখরোট, পেস্তা, চিয়া সিড, সানফ্লাওয়ার সিড। শরীরে এনার্জির সঙ্গে সঙ্গে এই বাদামের নিউট্রিয়েন্ট, মিনারেল ও হেলদি ফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
দাওয়াতে গিয়ে খাওয়া শুরু করুন সালাদ দিয়ে। অনেক জায়গায় আবার ফলের সমাহারও থাকে। চেষ্টা করুন খাবারের প্লেটের বেশিরভাগটাই সালাদ বা ফলে ভরিয়ে ফেলতে।
শীতকালীন কয়েকটি সবজি রয়েছে, যেগুলি খেলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, মুলো। চেষ্টা করুন দাওয়াতের দিন এসব সবজি না খেতে। পাশাপাশি, সোডিয়াম-যুক্ত খাবারও না খাওয়া ভালো।
Advertisement
আরও পড়ুন : যে জিনিসগুলো মুখে ব্যবহার করবেন না
শুধু পানি না খেয়ে, তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন এমনকিছু যা শরীরের টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। যেমন- লেবুর টুকরো, শসার টুকরো, আদাকুচি। এ ছাড়াও ডাবের পানি, জিরা পানি, ধনে ভেজানো পারি বা দারুচিনি ভেজানো পানিও হজমের জন্য খুবই উপকারী।
প্রোবায়োটিক্স, যাকে বলা হয় ‘গুড ব্যক্টিরিয়া’, হজমে সাহায্য করে। সুতরাং, পেট ফুলিয়ে কাবাব খাওয়ার পরে অবশ্যই খান টক দই জাতীয় খাবার।
এইচএন/জেআইএম