বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যার ঘটনা আগের চেয়ে অনেক কমেছে, আগামীতে তা আরও কমবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
Advertisement
রোববার দুপুরে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরে সংসদ সদস্য ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের ‘সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে করনীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনার ফলস্বরূপ সীমান্ত হত্যার সংখ্যা কমেছে। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও কমবে। ২০০৮ সালে সীমান্তে ৬৮ জন নিহত হন। ২০০৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬৭ জন, ২০১০ সালে ৬০ জন এবং ২০১১ সালে ৩৯ জন। চলতি বছর তা আরও কমে হয়েছে ২১ জন। এতেই প্রমাণিত হয় দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় রয়েছে। সীমান্ত হত্যা যেন সম্পূর্ণ বন্ধ হয় আমারা সেই চেষ্টা করছি, আশাকরি এটা আরও কমবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে আসা মাদকসহ অন্যান্য চোরাচালান বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, দেশের ৪ হাজার ৭০০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার ৩৩ জন সংসদ সদস্য এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশে কোনো মাদক তৈরি হয় না। সবই মিয়ানমার এবং ভারত থেকে সীমান্ত পথে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এভাবে যেন কোনো মাদক প্রবেশ না করে সেজন্য সীমান্ত এলাকা আরও সুরক্ষিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, টেকনাফের বিভিন্ন পথ দিয়ে মাদক প্রবেশ করছে। এ ব্যপারে আরও সজাগ থাকতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় যেসব পথ দিয়ে বৈধভাবে আমদানি-রফতানি হয় সে পথগুলো যেন ক্লিয়ার থাকে সেই আলোচনাও হয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে মাদক চোরাচালানে সাংসদরা জড়িত এ বিষয়ে তিনি বলেন, যেখানেই অভিযোগ আছে সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
চোরাচালান বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে চরম সমন্বয়হীনতার বিষয়ে সাংসদদের অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘চরম’ কথাটি ঠিক নয়। বিজিবি-কোস্টগার্ড-পুলিশ-র্যাবের মধ্যে সমন্বয় আছে, যেখানে নেই সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করতে ১৫ হাজার নতুন সদস্য বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সীমান্ত রাস্তাগুলোর কাজ পর্যায়ক্রমে করা হচ্ছে। সাংসদদের পরামর্শ অনুযায়ী বিজিবির আরও চেকপোস্ট বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এআর/এমএমজেড/আইআই