চালের দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের অনেক অসুবিধা হয়েছে স্বীকার করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ‘কৃষকদের সুবিধার্থে সরকারই চেয়েছিল চালের দাম বাড়ুক। তবে যে পরিমাণ বেড়েছে এটা অসহনীয়।’
Advertisement
রোবাবর সচিবালয়ে তার দফতরে গ্রামীণ ব্যাংকের লভ্যাংশ গ্রহণকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তবে চালের দাম বাড়ার কারণে কত শতাংশ দারিদ্র্যের হার বেড়েছে সেটা এখনই নির্ধারণ করা সম্ভাব নয়। কিন্তু এটা সঠিক চালের দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের অনেক অসুবিধা হয়েছে। আগামীতে উৎপাদন বাড়লে চালের দাম কমে আসবে।’
এদিকে চালের দাম বৃদ্ধিতে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। এছাড়া চালের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় দারিদ্র্যের কবলে পড়েছেন দেশের ৫ লাখ ২০ হাজার মানুষ। গতকাল শনিবার এমন তথ্য দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম।
Advertisement
সংস্থাটি জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যে পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে, তা গত অর্থবছরের পুরো আমদানির প্রায় পাঁচগুণ। এক্ষেত্রে চাল রফতানিকারক দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কৌশলগত চুক্তি করা দরকার বলেও সুপারিশ করে সংস্থাটি।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো তাৎক্ষণিক রিপোর্ট। এগুলো বিশ্বাস করা উচিত হবে না। গরিব লোক কমছে বা বাড়ছে -এটার জন্য অন্তত পক্ষে বছরখানেক দেখা দরকার। বছর শেষে কী হবে আমি জানি না।’
তিনি বলেন, ‘চালের দামের কারণে অনেক অসুবিধা হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা চেয়েছিলাম চালের দাম কিছুটা বাড়ুক। তবে দামটা অনেক বেড়ে গেছে। আগে অনেক কম ছিল। সেটা ভালোই ছিল, কিন্তু ৫০ টাকার ওপরে ওঠে যাওয়াতে কিছু লোকের খুব অসুবিধা হয়েছে।’
চালের দামে স্থিতিশীলতার বিষয়ে কোনো ঠিক ঠিকানা নেই উল্লেখ করে উৎপাদন বাড়লেই চালের দাম কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
Advertisement
এমইউএইচ/আরএস/এমএস