‘আমার মরণ হলে যেন এই শহীদ মিনারেই দাফন-কাফন করা হয়। আমি মরার পরও যদি সহকারী শিক্ষকদের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হয়, তবে এটাই হবে আমার স্বার্থকতা।’ রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আমরণ অনশনের দ্বিতীয় দিন কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনরত শিক্ষক মো. শাহীন রেজা এসব কথা বলেন।
Advertisement
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের উদ্যাগে এ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। আজ রোববার দ্বিতীয় দিন কাফনের কাপড় পরে অনশন পালন করছেন যশোহরের মালঞ্চী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শাহীন রেজা।
মর্যাদার দাবি আদায়ে যদি মৃত্যু হয় তাহলে শহীদ মিনারেই দাফন-কাফনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকদের পরের অবস্থানে সরকারি শিক্ষকরা হলেও আমাদের মর্যদা চার ধাপ নিচে। এটি কী ধরনের বৈষম্য? ঘর ছেড়েছি, পরিবার ছেড়েছি, শুধু মর্যাদা ফিরে পাওয়ার আশায়।’
শিক্ষক মো. শাহীন রেজা বলেন, ‘পরিবারের কাছে শেষ বিদায় নিয়ে এসেছি। যদি আমার মৃত্যু হয় তবে যেন সবাই (পরিবারের সদস্যরা) আমাকে ক্ষমা করে দেন। তবুও আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় ছাড়া এক পাও নড়বো না। আমরা ২০১৪ সাল থেকে একই দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। দাবি আদায়ে আমাদের শুধু আশ্বাস দেয়া হয়, বাস্তবায়ন হয় না। এ কারণে সব ছেড়ে বাধ্য হয়ে রাস্তায় শিক্ষকরা আমরণ অনশনে যোগ দিয়েছেন।’
Advertisement
উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে বেতন নির্ধারণের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল শনিবার থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের অধীনে সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠনের শিক্ষকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
এমএইচএম/আরএস/এমএস