বেতন বৈষম্য নিরসনে জাতীয় শহীদ মিনারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আমরণ অনশনে যোগ দিতে আসতে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। শহীদ মিনারের আশেপাশের রাস্তার মোড়ে শিক্ষকদের আটকে দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষকরা।
Advertisement
প্রধান শিক্ষকদের এক গ্রেড নিচে বেতন নির্ধারণের দাবিতে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের উদ্যাগে গতকাল শনিবার সকাল থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন হাজার হাজার শিক্ষকরা।
শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, শনিবার দিনগত রাতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষক শহীদ মিনারে অবস্থান করেন। বাকিরা রাত যাপনে বিভিন্ন গন্তব্যে চলে যান। তারা আজ (রোববার) সকালে শহীদ মিনারে আসার পথে বাধার সম্মুখীন হন।
নোয়াখালী থেকে আসা শিক্ষক ইমাম উদ্দিন বলেন, গতকাল (শনিবার) অনশনে যোগ দেয়ার পর হোটেলে ফিরে গিয়েছিলাম। আজ সকালে অনশন স্থলে আসতে শহীদ মিনারের উত্তর দিকে রাস্তার মোড়ে পুলিশ আটকে দেয়। আমি কৌশলে চলে এসেছি।
Advertisement
এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি সামসুদ্দিন মাসুদসহ কয়েকজন নেতাকে শহীদ মিনারের আশেপাশের রাস্তার মোড়ে আটকে দেয়া হয়েছে বলেও জানান শিক্ষকরা। অনশন কর্মসূচি স্থলের মাইকেও কয়েক দফা জানানো হয়, শিক্ষকদের আসতে বাধা দেয়া হচ্ছে।
শাহবাগ থানার পেট্রল ইন্সপেক্টর (পিআই) শেখ আবুল বাশার বলেন, ‘শিক্ষকরা তাদের কথা রাখেনি। শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে অবস্থানে জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে। কিন্তু তারা রোববারও অবস্থান করছে। আমরা শিক্ষকদের বুঝিয়ে উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিতে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতনের দাবিতে এ আমরণ অনশন শুরু করছেন।
আরএমএম/এএস/আরএস/এমএস
Advertisement