আর মাত্র ৩০ রান করলেই রকিবুল হাসানের পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান হবেন নাসির। সবার চোখ ছিল তাই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের দিকে। নাসিরও এগিয়ে যাচ্ছিলেন ভালোই।
Advertisement
কিন্তু ৩০০ রানের দোরগোড়ায় গিয়ে হঠাৎ ভুল করে ফেললেন। অভিষেক হওয়া লিংকন দে সঞ্জয়ের বলে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত আসলেন নাসির। মাত্র ৫ রানের আক্ষেপ থেকেই গেল। ২৯৫ তে আউট নাসির। ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ানের খাতায় নাম লেখানো হল না রংপুরের এই ব্যাটসম্যানের।
এর আগে মেধাবি তরুণ মার্শাল আইয়ুবও সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। এই তো ২০১২-২০১৩ মৌসুমে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ন্যাশনাল লিগ বিসিএলে মধ্যাঞ্চলের হয়ে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে ট্রিপল সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি গিয়েও পারেননি মার্শাল আইয়ুব। ১১ রানের আক্ষেপে পোরেন পুরনো ঢাকার মার্শাল। ২৮৯ রানে ফিরে গেছেন।
এছাড়া আরেক মেধাবি তরুণ মোসাদ্দেকের সামনেও এসেছিল ট্রিপল সেঞ্চুরির কৃতিত্ব। কিন্তু জাতীয় দলের এ তরুণ মিডল অর্ডারও পারেননি। ২০১৪-২০১৫ মৌসুমে বিকেএসপির মাঠে বরিশালের হয়ে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ২৮২ রানে আউট হয়েছেন মোসাদ্দেক। আর এবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে রংপুরের নাসির অপরাজিত ২৭০ রানে।
Advertisement
২০১৩-২০১৪ তে বিসিএলে মধ্যাঞ্চলের শামসুর রহমান শুভ বিকেএসপি মাঠে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে ২৬৭ রানের আরও একটি বড় ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউই কাঙ্খিত ট্রিপল সেঞ্চুরির দেখা পাননি।
উল্লেখ্য, ২০০৬-২০০৭ মৌসুমে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সিলেটের বিপক্ষে বরিশালের হয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরিসহ ৩১৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে এখনো রেকর্ড বুকে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে রেখেছেন রকিবুল হাসান।
এআরবি/এমআর/এমএস
Advertisement